পান্নার মুখ কি সুন্দর দেখাচ্চে। অলস, ঢুলুঢুলু, ডাগর ডাগর চোখ দু’টিতে তখনও ঘুম জড়ানো। ও কোনো কিছুই গায়ে মাখে না। হাসিখুসি আমোদ নিয়েই ওর জীবন। হেসে বললে—বেশ মজা হয়েচে, না!
—মজাটা কি রকম? এখুনি যদি জল খেতে চাই, একটা গ্লাস নেই। ভারি মজা!
—একটা কাঁচের গ্লাস কিনে নিয়ে এসো না? বাজারে পাওয়া যাবে তো।
—তবেই সব হোল। তুমি কিচ্ছু বোঝো না পান্না। ঘরসংসার কখনো পাতাওনি। তোমার দেখচি নির্ভাবনার দেহ।
পান্না হঠাৎ পাকা গিন্নির মত গম্ভীর হয়ে গেল। বললে—তাইতো। কি করা যায় তাই ভাবচি।
রাত্রে পান্না বড় মজা করলে।
দেওয়ালের কাছে একটা শাড়ি পেতে আমাকে বললে—তুমি এখানে শোবে।
—তুমি?
—এইখানে দেওয়ালের ধারে।
—মধ্যে প্রসান্ত মহাসাগরের ব্যবধান। রাত্রে যদি তোমার ভয় করে?
—তোমার কথা আমি বুঝতে পারিনে বাপু, ভয় করবে কেন! কত জায়গাতে ঘুরবো আমি। কত জায়গায় ঘুরেচি মুজরো করতে।