নীলিকে আমি আবার পৌছে দিতে গেলাম। নীলিমা বললে—খুব গেঁথেচেন।
—মানে?
—মানে দেখলেন না? ও কি বলে সব কথা। ওর মুখে অমন কথা। পান্নাকে গেঁথেছেন ভাল মাছ। আমি ওকে জানি। ভারি সাদা মন। নিজের জিনিসপত্তর পরকে বিলিয়ে দেয়।
—তোমাকে কোন কথা বলেচে আমার সম্বন্ধে?
এই কথাটার উত্তর শুনবার জন্যে আমি মরে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এ কথার সোজাসুজি উত্তর নীলিমা আমায় দিলে না। বললে—সে কথা এখন বলবো না। তবে আপনার ক্ষমতা আছে। অনেকে ওর পিছনে ছিল, গাঁথতে পরেনি কেউ। আমি তো সব জানি। হরিহরপুরে একবার মুজরো করতে গিয়েছিলাম, সেখানকার জমিদারের ছেলে ওর পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছিল। তাকে ও দূর করে দিয়েছিল এক কথায়। তাই তো বলি, আপনার ক্ষমতা আছে।
নীলিমার কথা শুনে আমি যে কোন স্বর্গ উঠে গেলাম সে বলা যায় না ও অবস্থায় যে কখনো না পড়েছে তার কাছে। জীবনের এ সব অতি বড় অনুভূতি, আমি নিজে আস্বাদ করে বুঝেছি। মন এবং মনের বৃত্ত। টাকা না কড়ি না, বিষয় আশয় না এমন কি যশমানের আকাঙ্খা পর্য্যন্ত না। ওসব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে, নিজের সকল প্র্যাক্টিস ছেড়ে দিয়ে পান্নাকে নিয়ে অকূলে ভেসেচি। ভেসে আজ বুঝতে পেরেছি, ত্যাগ