আর একজন পার্শ্বচর লোক বললে—এ জেলার বিখ্যাত লোক। অনেক পয়সা রোজগার। দশে মানে, দশে চেনে।
আমি ভাল করে লোকটার দিকে চেয়ে দেখলাম। এতক্ষণ ওর দিকে তেমন করে চাইনি, ভেবেছিলাম এই গঞ্জের পেটমোটা ব্যবসাদার। এবার আমার মনে হোল লোকটা সরল প্রকৃতির দিলদরিয়া মেজাজের কবিই বটে।
আমি নমস্কার করে বললাম—আপনিই সেই পল্লীকবি?
ঝড় মল্লিক হেসে বললে—সবাই বলে তাই। এসো ভাই বসো এখানে। কিছু মনে করো না।
—আপনার কথা আমি শুনেচি।
—এসো বসো। এ চলে?
—আজ্ঞে না, ওসব খাইনে।
ঝড় মল্লিক পার্শ্বচরের দিকে চেয়ে বললে—যাও হে, তোমরা একটু বাইরে যাও—আমি ওঁর সঙ্গে একটু কথা বলি। সবাই চলে গেল। আমার কাছে ঘেসে বসে নীচু সুরে বললে তোমার স্ত্রী?
—না।
— সে আমি বুঝেচি। কি সম্পর্ক তাও বুঝলাম। আমি একটা কথা জানতে চাই। তুমি ভাই এর মধ্যে কেন?
—তার মানে?
—তার মানে তুমি ভদ্রলোক। আমি মানুষ চিনি। এর সঙ্গ ছেড়ে দাও। আমি ভুক্তভোগী, বড় কষ্ট পেয়েছি দাদা। কি করতে?