এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈজল
২১২
কি জানেন, মেয়েমানুষের লেখা, যা লিখেছে তাই কেন অসাধারণ বলে মনে হোতে লাগলো। আমার মনের রঙে রঙীন হয়ে উঠলো ওর লেখা।
আধঘণ্টা পরে মেয়েটি আবার ফিরে এল।
আবার বললে—ঘুমুচ্চেন?
—না ঘুমুই নি। আসুন—
—দেখলেন?
—হ্যাঁ সব দেখেচি। ভাল লেগেচে। আপনার বেশ ক্ষমতা আছে।
—হ্যাঁ—ছাই!
কেমন একটা অদ্ভুত টানা টানা মধুর ভঙ্গিমার সুরে ‘ছাই’ কথাটা ও উচ্চারণ করলে। কি মিষ্টি সুর। আমি ওর মুখের দিকে ক্ষণিকের জন্যে চাইলাম। চোখোচোখি হয়ে যেতেই চোখ নামিয়ে নিলাম। তখনও আমি ভদ্রলোক। কিন্তু বেশিদিন আর ভদ্রতা রাখতে পারলাম না। সে আমার দুর্ব্বলতা। লম্বা গল্প করবার সময় এখন নেই। এক মাসের মধ্যে তাকে নিয়ে পথে বেরুলাম।
—বলেন কি?
—আর কি বলি।
—তারপর?
—তারপর আর কি! তাকে নিয়ে চলে গেলাম নবদ্বীপ। পতিত তারণ জায়গা। বহু পতিত তরে যাচ্চে। জলের মত