—সে খোঁজে আপনার কি দরকার?
বিরক্ত হয়ে মুখ ফেরালাম অন্য দিকে। পুলিশের লোকজন চলে গেল।
আমি কতক্ষণ চুপ করে বসে রইলাম সামনের জানালাটার দিকে তাকিয়ে।
আমার ভেতরে যেন কিছু নেই, আমি নিজেই নেই।
উঃ পান্না সত্যি চলে গেল? স্বেচ্ছায় চলে গেল?
যাকগে। প্রলয় মন্থন করে আমি জয় লাভ করবো। ভাঙুক, দীপ নিবুক, ঘট গড়াগড়ি যাক। ও সব মেয়ের ওই চরিত্র। কি বোকামি করেছি আমি এতদিন।
সামনের দোকান থেকে এক পেয়ালা চা খেয়ে এলুম। চা করতে পারতাম, সবই আছে, কিন্তু পেয়ালা পিরিচ নেই, সেগুলো তুলে দিইচি পান্নার গাড়িতে। ওরই জন্যে সখ করে কেনা, ওকেই দিলুম। পুরুষ মানুষের প্রেম অত ঠুন্কো নয়, তা’র শক্ত দৃঢ় ভিত্তি আছে। মরুক গে। ও ভাবনাতেই আমার আর দরকার কি?
যাবার সময় একবার বলে গেল না, বেলা হয়েছে, বাজার করে আনলে ভাত খেও। অথচ—
যাক্—ও চিন্তা চুলোয়।
হোটেল থেকে ভাত খেয়ে এলাম। বাজার থেকে বেছে বেছে মাগুর মাছ কিনে নিয়ে এসেছিলাম দু’জনে খাবো বলে। সেগুলো মরে কাঠ হয়ে গেল। তারপর দেখি বেড়ালে খাচ্চে।
পাশের বাড়ির শশিপদ সেকরা আমায় ডেকে বললে—ঠাকুর মশায়, তামাক খাবেন?