আমি ভেবে দেখলে বুঝতে পারবো নিশ্চয়।
আবার কখন শেষ রাত্রে ঘুমিয়ে পড়েছি ভাবতে ভাবতে।
স্বপ্ন দেখছি পান্না এসে বলচে—এত বেলা পর্য্যন্ত ঘুম, ওঠো চা করচি, খাও। বা রে—
ধড়মড় করে ঠেলে উঠলাম। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস যেন ফেললাম, ঘুমঘোর জড়িত মন যেন আনন্দে নেচে উঠলো তাহ’লে কিছুই হয়নি, পান্না যায়নি কোথাও। মিথ্যা স্বপ্ন ওর যাওয়াটা।
মূঢ়ের মত শূন্য গৃহের চারিদিকে চাইলাম। কপোতী নীড় ছেড়ে পালিয়েছে। কেউ নেই।
ঘুমিয়ে বেশ ছিলাম। ঘুম ভাঙলেই যেন পাষাণ ভার চাপলো বুকে। সারাদিন এ পাষাণের বোঝা বুক থেকে কেউ নামাতে পারবে না।
এই রকম বিভ্রান্তের মত দিন যে ক’টা কাটলো তার হিসেব রাখিনি।
দিন আসে যায়, রাত্রে ঘুমুই, আর কিছু মনে থাকে না।
একা ঘরে শুয়ে কান্না আসে। বুক—ভাঙা করা।
দিনমানে পাগলের মতো ঘুরে বেড়িয়ে বেড়িয়ে ভুলে থাকি। কিন্তু রাত্রে একেবারে কঠোর বাস্তবের সম্মুখীন হতে হয় শূন্য ঘরে।
আশ্চর্যের কথা একটা। পান্না টাকাকড়ি একটাও নিয়ে যার নি। আমার বালিসের তলার রেখে দিয়েছে। বোধ হয় তাড়াতাড়িতে ভুলে গিয়েচে।