বাতিকে। কেবল এই বসত বাড়িটুকু ঘুচিয়ে দিতে পারেন নি শুধু এই জন্যে যে, সেকালে লোকের ধর্ম্মভয় ছিল, ব্রাহ্মণের ভদ্রাসন কেউ মর্টগেজ রাখতে রাজী হয়নি।
সন্ধ্যার সময় ওপাড়া থেকে ফিরছি, পথে আবার শান্তির সঙ্গে দেখা। দেখা মানে হঠাৎ দেখা নয়, যতদূর বুঝলাম, শান্তি আমার জন্যে ওৎ পেতে এখানে দাঁড়িয়েছিল। বললাম—কি শান্তি, ব্যাপার কি? এখানে দাঁড়িয়ে এ সময়?
শান্তি স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে আমার দিকে পূর্ণদৃষ্টিতে চেয়ে বললে—তোমার জন্যেই দাঁড়িয়ে আছি শশাঙ্কদা।
আমি বড় বিপদে পড়ে গেলাম। এ ভাবে নির্জ্জন পথে শান্তির মত মেয়ের সঙ্গে কথা বলা আমি পছন্দ করি নে। বললামও কথাটা। তার দরকার থাকে, আমার বাড়ীতে সে যেতে পারে। তার বৌদির সামনে কথাবার্ত্তা হবে। পথের মাঝখানে কেন?
শাস্তি বললে—শশাঙ্কদা, তোমার ওপর আমার ভক্তি আগেও ছিল। এখন আরও বেশি।
আমি এ কথা ওর মুখ থেকে আশা করিনি, করেছিলাম অনুযোগ—তাও নিতান্ত গ্রাম্য ধরনে, অর্থাৎ গালাগালি। তার বদলে একি কথা? এই কথা শোনাবার জন্যে ও এখানে দাঁড়িয়ে আছে! বিশ্বাস হোল না।
বললাম—আসল কথাটা কি শান্তি?
—আর কিছু না, মাইরি বলচি শশাঙ্কদা—
বেশ, তুমি বাড়ী যাও—