—আজ্ঞে, আমি শশাঙ্ক।
—খেয়েচ?
—আজ্ঞে না।
—কোথায় যাচ্চ তবে? সোনা ফেলে আঁচলে গেরো?
—সমস্ত দিনের ইয়ে—বাড়ী গিয়ে গা ধুয়ে—
—সে হবে না। গা এখানেই ধোও পুকুর ঘাটে। সাবান কাপড় সব দিচ্ছে।
—আজ্ঞে তা হোক জ্যাঠামশায়। আমি বরং—
মুখুজ্যে জ্যাঠামশায় এসে আমার হাত ধরলেন।—তা হবে না বাবাজি, তুমি যাচ্চ খাবে না বলে, আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি আজ আমার জাত রক্ষে করেছ—তুমি না থাকলে আজ ব্রহ্মণভোজন পণ্ড হয়েছিলো। খুব বাঁচিয়ে দিয়েচ বাবাজি। আমি তোমাকে আজ যে কি বলে আশীর্ব্বাদ করবো, বেঁচে থেকো—দীর্ঘজীবী হও। চললে যে?
—আমি যাই—
—কেন?
—আপনি তো আমায় নেমন্তন্ন করেননি জ্যাঠাবাবু?
আমার গলার মধ্যে একটু অভিমানের সুর এসে গেল কি ভাবে নিজের অলক্ষিতে।
মুখুজ্যে জ্যাঠামশায় কাতরভাবে আমার হাত দুটো ধরে বললেন—আমার মতিচ্ছন্ন। রত্ন চিনতে পারিনি। তুমি আমার কানটা মলে দাও–দাও বাবাজি—