আছে, সেগুলো মেনে চলাতেই প্রকৃত ভদ্রতা। বললাম—ডাক্তার রহিমকে যা-তা ভেবো না। উনি খুব ভাল চিকিৎসা করেন—অবিশ্যি আমি নিজে হয়তো হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানিনে, কিন্তু—
সনাতন হাত নেড়ে বললে—না রে ভায়া, তুমি যাই বলো, তোমার কাছে কেউ লাগে না। একবার সাইনবোর্ডটা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়—ডাক্তার বি. সি. মুখার্জি এম. বি. মেডিকেল কলেজের ভূতপূর্ব্ব হাউস সার্জন—সোনার পদক প্রাপ্ত—
—তুমি বোসো দাদা, আমি খেয়ে নিই—
—বিলক্ষণ! নিশ্চয়ই নেবে। তুমি যাও ভেতরে, আমি এই তক্তাপোশে একটু ঘুম দিই!
—বাড়ীতে কেউ নেই। তোমার বউমা গিয়েছেন রাজু গোঁসাইয়ের বাড়ী নেমন্তন্ন খেতে। কি একটা মেয়েলি ব্রত উদযাপন। সেই জন্যেই তো এত দেরি করলাম।
একটু পরে স্নান সেরে উঠেছি, গৃহিণী বাড়ী এলেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে। সঙ্গে রাজু গোঁসাইদের বাড়ীর ঝি, তার হাতে একটা পুঁটুলি।
আমায় দেখে সুরবালা বললে—কি গো, এখনও খাওনি?
—কই আর খেলাম।
—দাঁড়াও ভাত এনে দিই, লক্ষ্মী জায়গা করে দে—
—খুব খাওয়ালে রাজু গোঁসাইয়েরা? কিসের ব্রত ছিল?
—এয়োসংক্রান্তির ব্রত। তোমার জন্যে খাবার দিয়েছে—
আমার জন্যে কেন? আমি কি ওদের এয়ো?