কেন তোর তাতে কি রে বাপু? তোকে কৈফিয়ৎ দিয়ে যেতে হবে না কি? মুখে অবিশি কিছু বললাম না।
মাঝিকে বললাম—একটু তাড়াতাড়ি বাইতে কি হচ্চে তোর? ওদিকে আসর যে হয়ে গেল—
খেমটার প্রথম আসরেই আমি একেবারে সামনে গিয়ে বসলাম। আবদুল হামিদ আজও আমার পাশে বসেছে। অন্যান্য সব বিশিষ্ট এবং সন্ত্রাস্ত ব্যক্তি যারা কাল উপস্থিত ছিল, আজও তারা সবাই রয়েছে, যেমন, প্রহ্লাদ সাধুখাঁ, ওর ভাই নরহরি সাধুখাঁ, গোবিন্দ দাঁ, ইত্যদি। আমি যেতেই সবাই কলরব করে উঠলো—আসুন, ডাক্তারবাবু, আসুন।
আবার সেই অল্প বয়সী মেয়েটি ঘুরে ঘুরে আমার সামনে এসে হাজির হোতেই আমি দুটি টাকা প্যালা দিয়ে দিলাম সকলের আগে। পকেট ভরে আজ টাকা নিয়ে এসেছি প্যালা দেওয়ার জন্যে। অবিদুল হামিদ যে আমার নাকের সামনে রুমাল ঘুরিয়ে প্যালা দেবে, তা আমার সহ্য হবে না।
কিন্তু সত্যিই কি তাই?
আবদুল হামিদের চোখে বড় হবার জন্যেই কি পকেট পুরে টাকা এনেছি প্যালা দেবার জন্যে?
নিজের কাছেই নিজের মনোভাব খুব স্পষ্ট নয়।
আবদুল হামিদ আমার দেখাদেখি দুটাকা প্যালা দিলে।
আমার চোখ তখন কোনো দিকে ছিল না। আমি এক দৃষ্টে সেই অল্প বয়সী মেয়েটিকে দেখছি। কি অপূর্ব্ব এর মুখশ্রী!