তা হয়ে উঠবে না। নরকে পচে মরবো শেষে? ছোট জাত আমরা—
—ও সব বাজে কথা।
—না ডাক্তারবাবু, আপনাদের মত অন্যরকম। আপনারা ইংরেজী পড়ে এ সব মানেন না, কিন্তু ভগবানের কাছে দোষী হতে হবে তো?
—ইংরেজী পড়ে নয় নেপাল, মানুষের সঙ্গে মানুষের তফাৎ সৃষ্টি করেচে সমাজ, ভগবানকে টেনো না এর মধ্যে।
—ভগবান নিজেই ব্রাহ্মণের পায়ের চিহ্ন বুকে ধরে আছেন। আছেন কি না আছেন বলুন?
—আমি দেখিনি ভগবানকে, তাঁর বুকে কি আছে না আছে বলতে পারবো না। কিন্তু নেপাল, এটুকু তুমিও জানো আমিও জানি, তাঁর দেওয়া ছাপ কপালে নিয়ে কেউ পৃথিবীতে আসে নি।
—তবে বাবু, কেউ ব্রাহ্মণ কেউ শূদ্দুর হয় কেন?
—আমি জানিনে, তুমিই বলো।
—কর্ম্মফল। আপনার সুকৃতি ছেল আপনি ব্রাহ্মণ হয়ে জন্মেচেন, আমার পুণ্যি ছেল না, আমি শূদ্দুর হয়ে—
এ তর্কের মীমাংসা নেই, বিশেষত এদের বুঝানো আমার সম্ভব নয়, সুতরাং চুপ করে খাওয়া শেষ করলাম।
রাত বেশি হয়েচে। নেপাল বললে—আপনি শোবেন এখানে তো? বড়বৌ বলচে।