পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারো অসুখ করেচো ; নইলে এত রাত্রে ওরা দুজনে ডিসপেনসারিতে আসবে কেন ? ব্যস্ত সুরে বললাম-কী হয়েছে বলে তো ? কে মেয়েটি ? গোবিন্দ দা বললে-বসুন, ডাক্তারবাবু, বনুন-কথাV { -কে বলে তো, ও মেয়েটি ? আবদুল হামিদ দাত বের করে হেসে বললে-আপনার রূপী। দেখুন তো সেই কিশোরী নর্ত্তকীট। আমার মাথা যেন বিম বিম করে উঠলো। মেয়েটির সলজ দৃষ্টি মাটির দিকে নামানে । মনে হোল, ওর কপাল ঘেমে উঠচে ক্লান্তিতে ও সপ্রতিভা ब्रéfग्न । আমি এগিয়ে এসে বলি-কি, কি ব্যাপার ? হয়েচি কি ? গোবিন্দ দা হঁ্যা হঁ্যা করে হেসে উঠলো-আবদুল হামিদের হাসির সুরাটা খিকখিক শব্দে নদীর ধারে পুরোনো শিমুল গাছে শিক্রে পাখীর আওয়াজের মত। বিরক্ত হয়ে বললাম-আঃ, বলি কি হয়েচে শুনি না ? গোবিন্দ দা বললে-মাথা ধরেচে, মাথা ধরেচে-নোচে, গেয়ে মাথা ধরেছে, এখন ওষুধ দিন, রোগ সারান। টেবিলের ওপর থেকে স্মেলিং সপ্টের শিশিটা তুলে বললাম। -এটা জোরে শুকতে বলে, এখুনি সেরে যাবে।

মানািচ্ছল হামিদ আর একবার শিকারে পাখীর আওয়াজের