—কি করে বুঝলেন।
—তুমি একটি দুষ্টু বালিকা। কত বয়েস তোমার? পনেরো না ষোলো?
—জানিনে।
আমি ওর হাত ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে উঠে বললাম—তবে আমিও জানিনে ডাক্তারি করতে। তুমি যাও এখান থেকে, এখুনি যাও।
ওর মুখ থেকে হাসি মিলিয়ে গেল। আমার গলার সুর বোধ হয় একটু কড়া হয়ে পড়েছিল। ভীরু চোখে আমার দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে বললে—রাগ করলেন? না, না, রাগ করবেন না। আমার বয়েস ষোলো।
—নাম কি?
—পান্না। ভালো নাম, সুধীরাবালা—
—যার সঙ্গে এসেচ ও তোমার কে হয়?
—কেউ নয়। এর সঙ্গে মুজরো করে বেড়াই, মাইনে দেয়, প্যালার অর্দ্ধেক ভাগ দিতে হয়।
—কোথায় থাক তোমরা?
—দমদমা সিঁথি। বাড়ীওয়ালীর বাগান বাড়ীতে।
—সে আবার কে?
—বাড়ীউলী মাসির টাকায় তো খেমটার দল চলে। থাকতে দেয়, খেতে দেয়। সে-ই তো সব।
—ওষুধ দেবো? মিথ্যে কথা বলে এসেছ কেন এখানে? ওই তোমার সঙ্গের মেয়েটা এখানে তোমার পাঠিয়েচে?