আমার বুক ঢিপ ঢিপ করে উঠলো। বললাম—কে বললে ভালো? রামো, বাজে খেমটা নাচ্চে, কলিকাতার খেমটাউলীদের—
সনাতনদা জানে, আমি নীতিবাগীশ লোক, সুতরাং আমার সামনে সে বলতে পারলে না যে খেমটা নাচ দেখতে যাবে। আমিও তা জানতাম। খেমটা নাচের কথা শুনে সনাতন তাচ্ছিল্যের সুরে বললে—খেমটা? ঝাঁটা মারো! ও আবার ভদ্রোলোকে দেখে! তুমি গিয়েছিলে নাকি? ········ নাঃ, তুমি আবার যাচ্চ ওই দেখতে!
—গিয়েছিলাম একটুখানি।
সনাতন সবিস্ময়ে আমার দিকে চেয়ে বললে—তুমি!
হেসে বললাম- হ্যাঁ গো আমি।
সনাতন ভেবে বললে—তা তোমাকে খাতিরে পড়ে যেতে হয়। পাঁচজনে বলে, তুমি হোলে ডাক্তারমানুষ—
সনাতনদা আর ও সম্বন্ধে কিছু বললে না। অন্য কথাবার্ত্তা খানিকক্ষণ বলে উঠে চলে গেল। আমি বাড়ির ভেতর গিয়ে স্নানাহার করে নিয়ে ওপরে শোয়ার ঘরে যেতেই সুরবালা এসে ঘরের জানালা বন্ধ করে দিয়ে গেল। চোখে আলো লাগলে দিনমানে আমার ঘুম হয় না সে জানে। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি নে, উঠলাম যখন তখন বেলা বেশি নেই। তখুনি সুরবালা চা নিয়ে এল, বললে—ঘুম হয়েছে ভালো? এর মধ্যে কাপাসডাঙা থেকে একটা রুগী এসেছিল,