বলে পাঠিয়েচি, বাবু ঘুমুচ্ছেন। তারা বোধ হয় এখনো বাইরে বসে আছে। শক্ত কেস্।
বললাম—আমাকে আজও মঙ্গলগঞ্জে যেতে হবে।
—অজও? কেন গা?
সুরবালা সাধারণত এরকম প্রশ্ন করে না। খাঁটি মিথ্যে কথা ওর সঙ্গে কখনো বলিনি। সংক্ষেপে বললাম—দরকার আছে। যেতেই হবে।
—কাপাসডাঙায় যাবে না?
—না। যেতে পারা যাবে না।
এদিকে কাপাসডাঙার লোকে যথেষ্ট পীড়াপীড়ি শুরু করে দিলে। তাদের রুগীর অবস্থা খারাপ, যত টাকা লাগে তা দেবে, অবস্থা ভালো, আমি একবার যেন যাই। ভেবে দেখলাম কাপাসডাঙার রুগী দেখতে গেলে সারা রাত কাটবে যেতে আসতে।
সে হয় না।
মাঝিকে নিয়ে সন্ধ্যার পরেই রওনা হই। পৌঁছবার আগে আমার বুকের মধ্যে কিসের ঢেউ যেন ঠেলে উঠচে বেশ অনুভব করি। মুখ শুকিয়ে আসচে। হাত-পা ঝিম্ ঝিম্ করচে। এ আবার কি অনুভূতি, আমার এত বয়স হোল, কখনও তো এমন হয়নি।
একটি ভয় মনের মধ্যে উকি মারছে। পান্না আজ হয়তো অন্য রকম হয়ে গেছে। আজ সে হয়তো আর