১২
দারোগার দপ্তর, ১৯৫ সংখ্যা।
যতক্ষণ না সে ইহার উচিতমত শান্তি পায়, ততক্ষণ কোন প্রকারে নিশ্চিন্ত হইতে পারিব না। কিন্তু কেমন করিয়া আমার অভিলাষ পূর্ণ হইবে বলিতে পারি না। ফকিরের একটী পয়সাও সম্বল ছিল না, সঞ্চয় কাহাকে বলে তাহা তিনি জানিতেন না, ভবিযতের ভাবনা তিনি কখনও ভাবিতেন না। কেমন করিয়া বলিব, কাহার উপর আমার সন্দেহ হয়?
আ। পূর্ব্বে কুটীরে যে যে দ্রব্য যেখানে ছিল, এখনও সেই সেই দ্রব্য সেই সেই স্থানে আছে?
গৌ। আজ্ঞে হাঁ। ফকিরের কুটীরে বিশেষ কোন দ্রব্য নাই, আপনি স্বচক্ষেই দেখিতে পাইবেন।
আ। প্রায় দুই মাস হইল ফকির আপনার নিকট বসবাস করিয়া আসিতেছিল, ইতিপূর্ব্বে কোন দিন তাহাকে কোনরূপ বিমর্ষ বা ভীত দেখিতে পান নাই?
গৌ। আজ্ঞে না—তাঁহার সদাই হাস্য বদন, তাঁহাকে কখনও বিমর্ষ দেখি নাই; আর ভয়?—ভয় কাহাকে বলে, বোধ হয়, তিনি জানিতেন না।
আ। তবে কি অভিপ্রায়ে কেই বা ফকিরকে হত্যা করিল? ভাল করিয়া মনে করুন, কাহারও উপর আপনার সন্দেহ হয় কি না?
গৌরীশঙ্কর কিছুক্ষণ কোন কথা কহিলেন না। যেন কোন গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন। পরে অতি মৃদুস্বরে আপনা আপনি বলিতে লাগিলেন, ফকিরের নিজের এমন কোন দ্রব্য ছিল না যাহার লোভে কেহ তাঁহাকে হত্যা করিবে। তাঁহার মৃত্যুতে অপরের কোনপ্রকার লাভের সম্ভাবনা দেখিতে পাই না। সুতরাং