পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
দারোগার দপ্তর, ১৯৫ সংখ্যা।

 আমার কথায় আবদুল আর কোন উত্তর করিল না। আমার অনুমান কতদুর সত্য তাহা নিশ্চয়রূপে জানিবার নিমিত্ত, আবদুল ও ঐ বাড়ীর সমস্ত লোককে সঙ্গে লইয়া, যে স্থানে সেই ফকিরের মৃতদেহ ছিল, সেইস্থানে গমন করিলাম। তখনও ঐ দেহের পরীক্ষা হয় নাই। পরীক্ষাকারী ডাক্তারকে আমার অনুমানের কথা বলিলে, তিনি ঐ মৃতদেহের সমস্ত অঙ্গ উত্তমরূপে ধৌত করিয়া ঐ ধৌতজল পৃথক রাখিয়া দিলেন। মৃতদেহ উত্তমরূপে ধৌত হইলে ঐ মৃতদেহের আকৃতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্ত্তিত হইয়া গেল। তখন সকলেই উহাকে গৌরিশঙ্কর বলিয়া চিনিতে পারিলেন ও সকলেই বুঝিতে পারিলেন, আমাদিগের অনুমান সম্পূর্ণরূপে সত্য।

 ঐ মৃতদেহ-ধৌত জল ও কুটীর হইতে প্রাপ্ত সেই তরল-পদার্থ রাসায়নিক পরীক্ষায় স্থির হইল যে, উহাতে একই পদার্থ মিশ্রিত আছে।

 পরিশেষে হরশঙ্কর সমস্ত কথাই স্বীকার করিল। বিচারে তাহার ফাঁসীর হুকুম হইল।

সমাপ্ত।



শ্রবণ মাসের সংখ্যা

“লুকোচুরি

যন্ত্রস্থ।