আমার কথায় আবদুল আর কোন উত্তর করিল না। আমার অনুমান কতদুর সত্য তাহা নিশ্চয়রূপে জানিবার নিমিত্ত, আবদুল ও ঐ বাড়ীর সমস্ত লোককে সঙ্গে লইয়া, যে স্থানে সেই ফকিরের মৃতদেহ ছিল, সেইস্থানে গমন করিলাম। তখনও ঐ দেহের পরীক্ষা হয় নাই। পরীক্ষাকারী ডাক্তারকে আমার অনুমানের কথা বলিলে, তিনি ঐ মৃতদেহের সমস্ত অঙ্গ উত্তমরূপে ধৌত করিয়া ঐ ধৌতজল পৃথক রাখিয়া দিলেন। মৃতদেহ উত্তমরূপে ধৌত হইলে ঐ মৃতদেহের আকৃতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্ত্তিত হইয়া গেল। তখন সকলেই উহাকে গৌরিশঙ্কর বলিয়া চিনিতে পারিলেন ও সকলেই বুঝিতে পারিলেন, আমাদিগের অনুমান সম্পূর্ণরূপে সত্য।
ঐ মৃতদেহ-ধৌত জল ও কুটীর হইতে প্রাপ্ত সেই তরল-পদার্থ রাসায়নিক পরীক্ষায় স্থির হইল যে, উহাতে একই পদার্থ মিশ্রিত আছে।
পরিশেষে হরশঙ্কর সমস্ত কথাই স্বীকার করিল। বিচারে তাহার ফাঁসীর হুকুম হইল।
সমাপ্ত।
শ্রবণ মাসের সংখ্যা
“লুকোচুরি”
যন্ত্রস্থ।