নয় ও কিরূপে উহা ঐ স্থানে আসিল, তাহা তিনি বলিতে পারেন না।
এইরূপ অবস্থায় ঐ পুলিস-কর্ম্মচারীও বিপদে পড়িলেন, তাঁহার মনে ভয়ানক সন্দেহ আসিয়া উপস্থিত হইল। তাঁহারও মনে হইল, সেই কদাকার লোকই কি নরেন্দ্রবাবুকে হত্যা করিয়াছে, আর তাহাই যদি হয়, তাহা হইলে ঐ মৃতদেহটা কোথা গেল।
সে যাহা হউক, ঐ পুলিস-কর্ম্মচারী এই সকল অবস্থা দেখিয়া আমাকে সংবাদ প্রদান করেন, আমি আসিয়া এই অনুসন্ধানে নিযুক্ত হই।
আমি। আচ্ছা, সেই লোকটার কোন পরিচয় পাওয়া গিয়াছে কি?
ডাক্তার। লোকটা সহরের একটা ভিখারী; কোম্পানীর বাগানের ধারে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায়। সকলেই তাহাকে নিরীহ লোক বলিয়াই জানে।
আমি। সে চণ্ডুর আড্ডায় কি করে?
ডাক্তার। কিছুই করে না। তবে সে এখানে সেই ঘরখানিতে বাস করে। আড্ডার অধ্যক্ষ বলে যে, তার মত শান্ত লোক সহরে নাই। ঘরের ভাড়ার স্বরূপ সে মাসে মাসে আড্ডাধারীকে পাঁচ টাকা করিয়া দিয়া থাকে।
আমি। আচ্ছা, লোকটা দেখিতে কিরূপ?
ডাক্তার। সে কথা আর জিজ্ঞাসা করো না। তাহার আকার প্রকার অতি বিশ্রী। লোকটা অল্প খোঁড়া। মুখে নানা প্রকার দাগ। ঠোঁট উল্টান। দেখিলে স্বতঃই মনে দয়ার উদ্রেক হয়।