পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারোগার দপ্তর, ১৪৪ সংখ্যা।

 রমণী। তবে কি আপনি মনে করেন যে, তিনি আর জীবিত নাই। তিনি আমায় একেবারে পরিত্যাগ করিয়াছেন?

 এই বলিয়া রমণী এক সুদীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি পুনরায় কহিলেন, “তাহা হইলে কি আমার স্বামী সেই মুসলমান ফকির কর্ত্তৃকই হত হইয়াছেন?”

 ডাক্তার। সে বিষয়ে আমি এখন নিশ্চয় করিয়া কোন কথা বলিতে পারিতেছি না; তবে বোধ হয়, কেহ তাহাকে খুন করিয়াছে। নতুবা এই কয় দিবস পর্য্যন্ত তাহার কোনরূপ সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না কেন?

 রমণী। আমার মনে এখন কেমন একটু সন্দেহ আসিয়া উপস্থিত হইতেছে, আজ আমি এই চিঠীখানি প্রাপ্ত হইয়াছি; যদি তিনি ইহজীবন পরিত্যাগ করিতেন, তাহা হইলে এই চিঠী কিরূপে আজ আমার হস্তগত হইত?

 আমার বন্ধু, রমণীর এই কথা শুনিয়া যেন বজ্রাহত হইলেন। তিনি কোনরূপ কথা কহিতে পারিলেন না। অনেকক্ষণ পর তিনি সহসা বলিয়া উঠিলেন, “আপনি কি বল্‌ছেন?”

 রমণী। হাঁ, আজই এই পত্র পেয়েছি, এই দেখনা বাবা?

 ডাক্তার। পত্রখানি আমি কি পড়্‌তে পারি?

 রমণী। নিশ্চয়ই! আপনাদিগকে উহা দেখাবার জন্যই ত আমি উহা আপনাদিগের হস্তে প্রদান করিলাম।

 ডাক্তার পত্রখানি অতি ব্যগ্রভাবে গ্রহণ করিলেন। পরে একবার চারিদিক বিশেষরূপে লক্ষ্য করিয়া দেখিলেন যে, পত্রখানি সেই তারিখেরই। অনেকক্ষণ এদিক ওদিক দেখিবার পর তিনি উহা আমার হস্তে প্রদান করিলেন, আমি, উহা পড়িয়া