পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ভিখারী।

 এই কথা শুনিয়া নরেন্দ্রবাবুর স্ত্রী আরও চিন্তিত হইলেন ও ভাবিলেন, তাহার স্বামী নিশ্চয়ই কোনরূপ বিপদগ্রস্ত হইয়া ঐ স্থানে আগমন করিয়াছেন; সুতরাং এরূপ অবস্থায় তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া কখনই চলিয়া যাওয়া কর্ত্তব্য নহে।

 মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া, তিনি তাহার পুত্রের সহিত ঐ কোচম্যানকে পুনরায় সেইস্থানে পাঠাইয়া দিলেন। তাহারা ঐ স্থানে প্রবেশ করিতে সমর্থ না হইয়া বিফল মনোরথের সহিত প্রত্যাগমন করিল।

 নরেন্দ্রবাবুর স্ত্রী এরূপ অবস্থায় কি কর্ত্তব্য তাহা স্থির করিয়া উঠিতে পারিলেন না, অথচ ঐরূপ অবস্থায় তাহার স্বামীকে সেইস্থানে পরিত্যাগ করিয়া যাইতেও সাহসী হইলেন না।

 এইরূপ বিপদে পড়িয়া, অনেক চিন্তার পর, তিনি মনে মনে স্থির করিলেন, ঐ স্থানে তিনি যদি কোন ভদ্রলোককে সেই সময় দেখিতে পান, তাহা হইলে তাঁহাকে সমস্ত কথা বলিয়া দেখিবেন যে, যদি তাঁহার দ্বারা কোনরূপ উপকার হইতে পারে। তিনি মনে মনে এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এরূপ সময়ে সেইস্থান দিয়া একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্ম্মচারীকে গমন করিতে দেখিতে পাইলেন। তাহাকে দেখিয়াই তিনি তাহার পুত্রের দ্বারা ঐ কর্ম্মচারীকে ডাকিলেন ও ঐ পুত্রের দ্বারা সমস্ত কথা তাঁহাকে কহিলেন। তিনি সমস্ত অবস্থা শুনিয়া কহিলেন, “এই বাড়ীর নিম্নে একটী গুলির আড্ডা আছে, উপরে একখানি মাত্র ঘর, তাহাতে সময় সময় একজন মুসলমান ফকির বাস করিয়া থাকেন। এই বাড়ীর ভিতর গমনাগমন করিবার কেবল এই একটী মাত্র দরজা আছে।