২ অধ্যায় (సె ७ ॐiांन ষোড়শাধিকরণ ধর্ম্মাধর্ম্ম প্রবৃত্তিতে অনুরাগ ও বিদ্বেষের প্রবর্তকত্ব লোক প্রসিদ্ধ হেতু জীবই ধর্ম্মধর্ম্মের প্রবর্তক হউক, কেন না ঈশ্বরকে তাহার প্রবর্তক স্বীকার করিলে বৈষম্য দোষ হয়, ইহা পুর্ব্বপক্ষ । ইহার সিদ্ধান্ত এই যে উক্ত ধর্ম্মধর্ম্মেতে সামান্যত ঈশ্বরের প্রবর্তকত্ব হেতু তাহাতে বৈষম্য দোষ হয় না এবং রাগদ্বেষের কারণত্ব থাকিলেও ঈশ্বরের হেতুত্বে কোন হানি নাই, অতএব ঈশ্বরই জীবের ধর্ম্মাধর্ম্ম প্রবর্ত্তক ॥১৬৷৷ সপ্তদশাধিকরণ কোন কোন বাক্যেতে জীব ও ঈশ্বরেতে অভেদ প্রতিপাদিত আছে, আর কোন কোন বাক্যে তদুভয়ের ভেদ প্রতিপন্ন করে, ইহাতে পরস্পরের বিরোধ থাকাতে ব্রহ্মবাদিদিগের মতে জগতের ব্যবস্থা থাকে না,ইহা পূর্ব্বপক্ষ । ইহার সিদ্ধান্ত এই যে যদিও ঈশ্বর ও জীবের বাস্তবিক ভেদ নাই তথাপি ঔপাধিক ভেদ স্বীকার করিয়া শাস্ত্রে তিন প্রকারে জীবের স্বৰূপ নিৰূপিত হইয়াছে, অর্থাৎ কোথাও বা জীবকে ঈশ্বরের অংশ ৰূপে, কোথাও বা অবচ্ছিন্নৰূপে, কোথাও বা আভাস ৰূপে কল্পনা করিয়াছেন সুতরাং ঔপাধিক ভেদেতে কোন দোষ হইতে পারে না ॥১৭ ইতি দ্বিতীয়াধ্যায়ে তৃতীয়পাদ ।
পাতা:অধিকরণমালা.djvu/৩৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।