“ই অধ্যায় ぐ)〉 সপ্ত সংখ্যাই স্বীকার করিয়া থাকে, ইহা পূর্ব্বপক্ষ । ইহার সিদ্ধান্ত এই যে অন্য নানা শ্রুতিতে হস্তপাদাদির ইঞ্জিয়ত্ব উক্ত থাকাতে এবং ইন্দ্রিয়ের একাদশ বিষয়ের উপলব্ধি হওয়াতে তাহার সাধন ইঞ্জিয়কে একাদশ বলিয়া, বেদান্তে স্বীকৃত হইয়াছে ৷ ২ ৷৷ তৃতীয়াধিকরণ সাংখ্যেরা স্বীকার করে যে ইন্দ্রিয় সকল সর্ব্বব্যাপী, কেবল জীবদিগের কর্ম্মফল ভোগের নিমিত্তে শরীর মধ্যে পরিচ্ছিন্ন হইয়া বৃত্তি লাভ করে, ইহা পূর্ব্বপক্ষ । ইহার সিদ্ধান্ত এই যে সর্ব্বগত জীবের ইন্দ্রিয় উপাধি স্বীকার করিয়া উৎক্রান্তি ও গমনাগমনাদি নিৰূপিত হইয়াছে, তাহাতে যদি সেই উপাধিও সর্ব্বগত হয় তবে উৎক্রান্ত্যাদি আর কোন প্রকারে সম্ভব হয় না, অতএব ইন্দিয় সকল সর্ব্বগত নহে, পরিচ্ছিন্ন ৷৷ ৩ ৷৷ চতুর্থাধিকরণ নাশাগ্রবর্ত্তি নিঃশ্বাসকারী প্রাণবায়ুকে অনাদি বলা যায়, যেহেতু শ্রুতিতে সৃষ্টির পূর্ব্বে প্রাণের ব্যাপার উক্ত আছে; ইহা পূর্ব্বপক্ষ । ইহার সিদ্ধান্ত এই যে শ্রুতিতে যে ব্যাপার উক্ত হইয়াছে তাহা প্রাণের ব্যাপার নহুে, কেন না বরং তাহতে প্রাণের ব্যাপার নিষেধ আছে,কিন্তু সৃষ্টির প্রাগবস্থা প্রতিপাদক সমস্ত শ্রীতিতে ঐক্য করিলে সে.
পাতা:অধিকরণমালা.djvu/৩৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।