পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b এবং নিত্য ও শুদ্ধ এইরূপ নিশ্চয় যে জ্ঞান হইতে উৎপন্ন হয়, ঐ জ্ঞানের নাম জ্ঞান-পরমাত্মাসাক্ষাৎকারের নাম বিজ্ঞান, ঐ বিজ্ঞান দ্বারা সর্ব্বব্যাপী সচ্চিদানন্দ স্বরূপ অব্যয় নিরুপাধি সর্ব্বদা সমানাবস্থাপন্ন স্বপ্রকাশ দ্বারা দেহাদি প্রকাশক, সুতরাং স্বয়ং প্রকাশবিশিষ্ট সঙ্গরহিত অদ্বিউীয় সত্যজ্ঞান স্বরূপ এবং স্বকীয় প্রভা স্বারা সমস্ত জগতের দ্রষ্ট। সেই পরমাত্মাকে জানিতে পারা যায়। যখন মনুষ্যেরা আচার্য্য-শাস্ত্রোপদেশানুসারে জীবাত্মা পরমাত্মা এই দুইয়ের অভেদ জ্ঞান করে, তখন তাহাদিগের মূল অবিদ্যা, স্কুল ও ইন্দ্রিয়াদিরূপ হুঙ্ক পদার্থের সহিত পরমাত্মাতে লীন হয়, ঐ অবিদ্যালয়াবস্থাকে মোক্ষাবস্থা বলিয়া পণ্ডিতের নির্দেশ করিয়াছেন। হে রঘুনন্দন! তোমাকে এইরূপ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও বৈরাগ্য মিশ্রিত মোক্ষপদার্থ কহিলাম। বিস্তু মদ্ভক্তি-রাষ্ট্ৰত ভক্তদিগের এই মোক্ষ অতি দুল্ল ভ। যেরূপ চক্ষুষ্মান ব্যক্তি রাত্রিকালে সম্পূর্ণ দেখিতে পায় না, কিন্তু দীপসংযোগ হইলে অনায়াসে দেখিতে পায়, তদ্রুপ মদ্ভক্তি-যোগ থাকিলে আত্মাকে মনুষ্যেরা অনায়াসে দেখিতে পায়, এই ক্ষণে মনুষ্যেরা যে প্রকারে আমাতে ভক্তিলাভ করিতে পারে, তাহার কিছু যথার্থ উপায় বলিতেছি শ্রবণ কর । - i যাহারা নিরস্তর মস্তক্তের সহিত সঙ্গ ও আমার ভক্তের সেবা, একাদশীতে উপবাস এবং আমার পর্ব্বদিনে উৎসব করে এবং আমার কথা রামায়ণের পাঠ ও ব্যাখ্যা শুনিতে অনুরক্ত এবং আমার নামকীর্ত্তন ও পুজাদি কার্য্য অনুষ্ঠান করিয়া থাকে, সেই সকল সতত যোগীপুরুষদিগের আমার প্রতি ভক্তি জন্মিয় থাকে, ভক্তি জন্মিলে কোন বস্তুর অভাব থাকে না ; যেহেতু ভক্তি হইতে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও বৈরাগ্য অতিসত্বর উৎপন্ন হইয়া থাকে, তৎপরে মুক্তিলাভ হয়। হে বৎস! তোমার প্রশ্নানুসারে এই সকল গোপনীয় বিষয় ব্যক্ত করিলাম। যে ব্যক্তি আমার এই সকল উপদেশবাক্যে মনোনিবেশ করিবে, সই মুক্তিলাভ করবে। তুমি আমার প্রতি অভক্ত ব্যক্তিদিগের নিকট আমার এই উপদেশ যত্বপূর্বক গোপনীয় এবং আমার ভক্তপুরুষদিগকে আহ্বান করিয়াও এই সমস্ত বলিয়া দিবে। যে ব্যক্তি মৎকৃত উপদেশ শ্রদ্ধা-ভক্তিসহকারে প্রতিদিন পাঠ করে, cगई वjङि जख्गमङ्गभं जककांद्र श्रड भूख इङ्ग। যে সকল ব্যক্তি মৎসেবনে অনন্তবুদ্ধি হইয়া মদ্ভক্ত নির্ম্মলাস্তঃকরণ শাস্তপ্রকৃতি এবং মংসেবা. অধ্যাত্ম-রামায়ণ । পরায়ণ পরমজ্ঞানী যোগীদিগের সঙ্গ করে, আমি সর্ব্বদা তাহাদিগের দর্শনপথে অবস্থিতি করি, এবং দুল্লভ মুক্তিপদার্থ তাহাদিগের করস্থিত জানিবে। তুর্থ অধ্যায় সমাপ্ত । পঞ্চম অধ্যায় । তৎকালে জনস্থান বাসিনী, কামরূপিণী—মহাবল রাক্ষসী সেই মহাবন মধ্যে বিচরণ করিত। একদা সে পঞ্চবটী সমীপে গৌতম নদীতীরে বক্সা, স্কুশ সরোজ-লাঞ্ছিত জগতীপতি শ্রীরামের পদচিহ্ন সকল দর্শন করিয়া কামান্ধ-চিত্ত হইল ; চরণ-সৌন্দর্য্য দেখিতে দেখিতে সেই পদ-চিহ্ন ক্রিমে রামনিলয়ে আসিয়া উপস্থিত হইল। অনন্তর রাক্ষসী সীতাদেবীর সহিত একাসনোপবিষ্ট কন্দৰ্প সদৃশ শ্রীরামকে দর্শন করিয়া কামভাবে জিজ্ঞাসা করিল—তুমি কাহার পুত্র, তোমার নাম কি—কি কারণেইবা জটাবন্ধল ধারণ করিয়া আশ্রমে বাস করিতেছ ? এখানে তোমার প্রয়োজনই বা কি ? বল। আমি স্থপণখানারী কামরূপিণী রাক্ষসী ; রাক্ষসাধিপতি মহাত্মা রাবণের ভগিনী, খরনামক অপর ভ্রাতার সহিত এই অরণ্য-মধ্যে বাস করিয়া থাকি। রাজা আমাকে সমস্ত দিয়াছেন, আমি মুনিভোজিনী হইয়া আছি । এক্ষণে তোমাকে জানিতে ইচ্ছা করি। হে বদতাম্বর । নিজ পরিচয় ব্যক্ত কর। শ্রীরাম কহিলেন;– “হে সুন্দরি ! আমি অযোধ্যাপতি রাজা দশরথের পুত্র আমার নাম রাম—এই পরম সুন্দরী জনকনন্দিনী সীতা আমার ভার্য্যা এবং আমা অপেক্ষা অতি সুন্দর লক্ষ্মণ আমার কনিষ্ঠ ভ্রাত, তিনিও এ স্থানে আছেন ;—হে ভুবনমোহিনি। আমা দ্বারা তোমার কি কার্য্য-সাধনে ইচ্ছা আছে, তাহা ব্যক্ত কর। কামার্তা রাক্ষসী ঐরামের এইরূপ বাক্য শ্রবণ। করিয়া কহিল,—“হে রাম ! আগমন করিয়া আমার সহিত গিরিকাননমধ্যে রমণ কর—হে কমল লোচন! আমি এক্ষণে অতি কামার্ত হইয়াছি ; অতএব তোমাকে কোনরূপে ত্যাগ করিতে পারি না। অনস্তত্ব শ্রীরামচন্দ্র সীতার প্রতি কটাক্ষপাত সুন্রি! আমার এই কল্যাণী ভার্য্যা বিদ্যমান আছে, ইহাকে কোনক্রমে ত্যাগ করা উচিত নহে, তুমি আমাকে পতিভাবে স্বীকার করিয়া যাবজ্জীবন সাপ্য-দুঃখে কি জন্য পীড়িত হুইবে ? এক্ষণে তোমাকে সম্পদেশ প্রদান করিতেছি শ্রবণ কর –