পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q:Ես গুল ফোৰ্দ্ধ জানুর অধোভাগে,স্বতল জামুদ্বয়ে, বিতল উরু-মুগলে, অতল উরু দেশের উর্দ্ধজম্বনের অধোভাগে। হে রাম! এই মেদিনী ঐ দেহের জঘনদেশে আছে, ভুবলে কি নাভিদেশে, উরঃস্থলে স্বর্গলোক এবং গ্রীবাদেশে মহলোক। হে রঘুবর ! ঐ দেহের মুখমণ্ডলে জনলোক, তপোলোক ললাট-দেশে । হে প্রভো ! ঐ দেহের মস্তকে সত্যলোক আছে। হে রঘুশ্রেষ্ঠ ! ইন্দ্রাদি লোকপালগণ আপনার বাহুদেশে বাস করিতেছেন এবং কর্ণযুগলে দশদিকৃ, অশ্বিনীকুমার নাসিকাদ্বয়ে, বকুমধ্যে অগ্নি চক্ষুদ্ধয়ে স্বর্য্য, মনে চন্দ্র এবং ভ্রভঙ্গমধ্যে নিমিযদি কাল, বুদ্ধিতে বৃহস্পতি, অহঙ্গারে রুদ্র এবং হে অমর | বাক্যে বেদসকল বাস করিতেছেন। হে রাম দশনমূলে কৃতান্ত, দন্তমধ্যে নক্ষত্রগণ, হান্তে সর্ব্বমোহকরী মায়া, নয়নাপাঙ্গে স্থা, সম্মুখে ধর্ম্ম, পশ্চাদ্ভাগে অধর্ম্ম, নয়নের নিমিষে রাত্রি, উন্মীলনে দিব, হে রঘুবর! সপ্তসমুদ্র ঐ দেহের কুক্ষিদেশে, নদীসকল নাড়ীমধ্যে ; এবং ঐ দেহের রোমসকল বৃক্ষ ও ওষধি, রেতসকল বৃষ্টি এবং ঐ দেহের মহিমা জ্ঞানশক্তি। হে রাম এইরূপ আপনার স্কুল শরীরে যাহারা মন অর্পণ করে, তাহাদিগের অনায়াসে মুক্তিলাভ হয়। হে রাম! আপনার বিরাড় মুক্তি হইতে স্বতন্ত্র পদার্থ জগতে কিছুই নাই, অতএব যে রামরূপ ধ্যান করিলে প্রেমরদ ও প্রেমরস হইতে সর্ব্বশরীর রোমাঞ্চ হয়; এই রামরূপকেই বিরাড় রূপ বলিয়া ভাবনা করিতেছি । হে ভগবন! যদি রামরূপকে বিরাড় রূপ ভাবনা করিয়া মনুষ্যের মুক্তি লাভ করিতে না পারে এবং কেবল সেই বিরাড় মূর্ত্তি ভাবনাই মুক্তির কারণ হয়, তাহা হইলে আমি রামরূপ পরিত্যাগ করিয়া মুক্তির জন্য কেবল বিরাড় রূপ ভাবনা করিতে ইচ্ছা করি না। কিন্তু এই প্রার্থনা করি যে, আপনার ধনুর্ব্বাণধারী জটাবন্ধল-ভূষিত নবদূর্ব্বাদলগুমি রামরূপ সীতান্বেষণ সময়ে যেরূপ অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছে,সেই অবস্থায় লক্ষ্মণের সহিত আমার হৃদয়ে সর্ব্বদা জাগরিত হউক। হে রঘুনন্দন | সাক্ষাং সর্ব্বজ্ঞ শঙ্কর রামরূপ ভাবনা করিতেছেন এবং কাশীক্ষেত্রে মুমুঘু ব্যক্তির কর্ণরন্ধে ব্রহ্মবাচক রামনাম স্বরূপ তারক মন্ত উপদেশ করিয়া পরমানন্দ লাভ করিতেছেন। হে জানকীনাথ ! এই সকল কারণে আপনাকে পর মাত্মা বলিয়। আমি নিশ্চয় করিয়াছি, মূঢ়ব্যক্তিরা ভবানী উপবেশন করাইল। অনন্তর র সহিত মিলিত হইয়া সর্ব্বদা আপনার এই অধ্যাত্ম-রামায়ণ । আপনার বিশ্বমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ হইয় আপনাকে জানিতে পারে না । হে অযোধ্যাপতে । আপনি স্বষ্টিকর্ত্ত পরমেশ্বর, আপনার সৌমিত্রি-সেবিত রামরূপকে নমস্কার করি । হে জগন্নাথ ! আমাকে রক্ষণ করুন, আপনার সর্বলোকমোহিনী মায়া যেন আমাকে আবরণ না করে ” শ্রীরাম কহিলেন, হে গন্ধর্ব্বরাজ। আমি তোমার এইরূপ ভক্তি এবং স্তব বাক্যদ্বারা সন্তুষ্ট হইলাম। যাহা যোগিগণ বস্তুতর তপস্যা দ্বারা লাভ করিয়া থাকেন, এক্ষণে তুমি আমার সেই নিত্য পরম ধামে গমন কর । হে জ্ঞানিবর ! যে সকল ব্যক্তি অনুন্নুমনে ভক্তিপূর্ব্বক তোমার কৃত স্তব পাঠ করে, তাহার ইহলোকে সর্বত্র জয়লাভ করিয়া অজ্ঞানজনিত সংসারবন্ধন পরিত্যাগপুর্ব্বক অস্তকালে আমাকে লাভ করে । o নবম অধ্যায় সমাপ্ত . দশম অধ্যায়। গন্ধর্ব্বরাজ, ঐরামের নিকট বরলাভ করিয়া গমন করিবার সময় ঐরামকে কহিল—হে রঘুনন্দন । ভক্তিমাগবিধুরদ শবরী নায়ী তাপসী আপনার পাদপদে ভক্তি সহকারে মনোনিবেশ করুিয়া সম্মুখবর্তী আশ্রমে বাস করিতেছেন । হে মহাভাগ ! আপনি র্তাহার নিকট গমন করুন, তিনি সকল কথাই আপনার নিকট সবিস্তরে ব্যক্ত করবেন । গন্ধর্ব্বরাজ ঐরামকে এই সকল বৃত্তান্ত কহিয়া মূর্য্যসদৃশ সমুজ্বল বিমানে আরোহণ পূর্ব্বক বৈকুণ্ঠধামে গমন করিলেন । রাম-নাম-স্মরণের এতাদৃশ ফল ! অনন্তর রঘুনন্দন লক্ষ্মণের সহিত সিংহ-ব্যাঘ্রাদি-দূষিত সেই ভয়ঙ্কর বন পরিত্যাগ করিয়া মৃদু-মন্দ-গমনে শবরীর আশ্রমে উপস্থিত হইলেন। ভক্তিপরায়ণ শবরী লক্ষ্মণের সহিত শ্রীরামকে সমীপে আসিতে দেখিবামাত্র তৎক্ষণাং সানন্দে গাত্রোখান করিয়া ঐরামের পাদযুগলে পতিত হইল ; এবং আনন্দাশ্রুপূর্ণ নয়নে স্বাগত সম্ভাষণ করিয়া উত্তমাসনে ভক্তি-সহকারে রাম-লক্ষ্মণের পাদ প্রক্ষালন করিয়া দিয়া সেই পাদোদক স্বীর নিজ অঙ্গ অভিষিক্ত করিল। তৎপরে সাদরে অধ্যাদি দ্বারা যথাবিধি উভয়ের পূজা করিল এবং তপঃ প্রভাবে ঐরামের ভবি ষ্যৎ আগমন জানিতে পারিয়া ষে সকল অমৃত তুল্য ফল সঞ্চয়। “ཝན་དང་། তাহাও শ্রীরামকে ভক্তি