পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-কাণ্ড পূর্বক প্রদান করিয়া সুগন্ধ ও চন্দনমিশ্রিত নানাবিধ কুহুম দ্বারা ঐরামের পাদ পুজনপূর্বক আতিথ্য করিলেন, শ্রীরামও আতিথ্য স্বীকার করিয়া লক্ষ্মণের সহিত সেই আশ্রমে অবস্থিতি করিলেন । অনস্তর ভক্তিমতী শবরী কৃতাঞ্জলি হইয়া শ্রীরামকে কহিলেন –হে রঘুশ্রেষ্ঠ ! পুর্ব্বকালে এই আশ্রমে আমার পরম গুরু মহর্ষিগণ বাস কবিতেন, আমি তাহাদিগের শুশ্রুষা করতঃ বহু সহস্ৰ বৎসর ; এখানে থাকি। র্তাহারা সম্প্রতি ব্রহ্ম লোকে গমন করিয়াছেন, যাইবার পূর্ব্বে তাহার আমাকে এই আদেশ করিয়াছিলেন যে, “বংসে ! i i i | | ! i . | ! s i # A : W I } | | সনাতনপরমাত্মা রাক্ষসকুলের বিনাশ ও ঋষিগণের । রক্ষার মিমি দশরথের পুত্র হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়া । ছেন; তিনি সত্বর এস্থানে আগমন করবেন, তুমি । স্থিরচিত্তে ধ্যানাবলম্বন করিয়া সেই বিষ্ণুর আগমন । প্রতীক্ষাকুর । এহ্মণে সেই প্রভু চিত্রকূট পর্ব্বতের অশ্রমে বাস করিতেছেন । যে কাল পর্য্যস্ত ভগবান এস্থানে না আসিবেন, তাবৎকাল শরীর ধারণ নিজ দেহ দগ্ধ করিয়া বিষ্ণুধাম বৈকুণ্ঠে গমন করিবে” । হে রাম ! আমি তোমার স্মরণমাত্র (էՏ, ব্যক্ত করি শ্রবণ কর –সংসঙ্গ মদ্ভক্তির প্রথম উপায় —মক্ষরিত-নিবন্ধ রামায়ণাদি চর্চা দ্বিতীয় উপায়— মদগুণ কীর্ত্তন তৃতীয় উপায়—মচ্চরিত-প্রকাশক উপনিষদ্ব্যাখ্যা চতুর্থ উপায়—এবং অকপটে গুরুতে ঈশ্বর-বুদ্ধি পুর্ব্বক আচার্ধ্যোপাসনা পঞ্চম উপায়— পবিত্র স্বভাব ও যম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার নিয়ম, ধ্যান, ধারণা, সমাধি এবং প্রতিদিন মংপুজনে তৎপরতা এই কয়েকট মদ্ভক্তির ষষ্ঠ উপায়— আমার মন্ত্রোপাসনা সপ্তম উপায় এবং মদ্ভক্ত জনের পূজা, সর্ব্বভুতে ঈশ্বর বুদ্ধি, বাহ্য বস্তুতে বৈরাগ্য ও অন্তরিক্রিয়-নিগ্রহ, বাহ-ইন্দ্রিয় নিগ্রহ, এই কয়ে তুমি সমাধি অবলম্বন করিয়া এই স্থানেই বাস কর । কটি অষ্টম উপায়—ব্রহ্মতত্ত্ব-নিরূপণ মদ্ভক্তির নবম উপায়—হে শুভলক্ষণে স্ত্রী পুরুষ বা তির্যাগযোনিগত যে কোন ব্যক্তির এই নববিধ ভক্তি সাধন সম্পন্ন হইলে—আমাড়ে প্রেম ভক্তি উৎপন্ন হইলেই, ব্রহ্মতত্ত্ব নিরূপণ, হয়। নিরূপণ হইলে তাহারা এই জন্মেই মুক্তিলাভ করিতে পারে, সেই হেতু ভক্তিই মুক্তির প্রথম কারণ, নিশ্চয় জানিবে, যে সকল ব্যক্তিদিগের প্রথম ভক্তিকর, ভগবানকে সমাগত দেখিবামাত্র অনল মধ্যে । ! সাধন ঘটনা হয়, ক্রমশঃ তাহাদিগের তানশিষ্ট্র উপায়সকল সম্পন্ন হইয়া থাকে, সুতরাং তাহার | অবলম্বন করিয়া গুরূপদেশানুসারে তোমার আগমন । প্রতীক্ষা করিতেছি, এক্ষণে গুরুবাক্য সফল হইল । হে ভগবন! আমার গুরুগণও আপনার দর্শন ! লাভ করিতে পারেন নাই, হে অপ্রমেয়াত্মন! তামি । অতি মূঢ় স্ত্রীজাতি এবং নীচ কুলোদ্ভব, আপনার } ভক্তি ও তদনন্তর মুক্তি নিশ্চয় লাভ করিতে পারে। হে ভদ্রে। যেহেতু তোমার আমাতে ঐকাস্তিক ভক্তি জন্মিয়াছে, সেই হেতু আমি স্বয়ং এ স্থানে i উপস্থিত হইয়া তোমার নয়নগোচর হইলাম। আমার এই দর্শনেই তোমার নিশ্চয় মুক্তি লাভ হইবে, সম্প্রতি আমার কমললোচনা সীত কোন দাসগণের—দাস, তাহার দাস, এইরূপ ক্রমে শত সোপানের পরবর্তী অনুদাসের দাসী হইতেও । r হে বিশ্বভাবন ! আপনি সর্ব্বজ্ঞ—সকলই জানেন— অধিকারী নহি, অতএব আপনার দর্শন আমার পক্ষে নিতান্ত অসম্ভব। হে দাশরথে । আপনি বাজুনের অগোচর পদার্থ—তবে কিরূপে আমি আজ আপনার দর্শন লাভ করিলাম। হে দেবদেব! আমি প্রতি প্রসন্ন হউন । স্থানে আছেন;—প্রিয়দর্শনপ্রিয়াকে কোন চুরাত্মাই বা হরণ করিল ? শবরী কহিল;—“হে প্রভু ! হে দেব ! তথাপি লোক-ব্যবহারকুসারী হুইয়া আমাকে এ বিষয় যদি জিজ্ঞাসা করিলেন, মুতরাং বলিতে হইল, হে ভগবন! রাক্ষসেশ্বর রাবণ সীতাকে হরণ করিয়াছে, স্তব করিতে জানি না, কি করিব নিজগুণে আমার ; ! ! এক্ষণে সীতা লঙ্গায় অবস্থিতি করিতেছেন। হে রাম ! এই স্থানের অনতিদূরে পম্প নামক সরোবর আছে, শ্রীরাম কহিলেন ;—“স্ত্রী জাতি বা পুরুষ, ঐ পম্পা সমীপে ঋষ্যমূক নামক মহাপর্ব্বত-ঐ সজাতি বা অসজ্জাতি, প্রসিদ্ধ বা অপ্রসিদ্ধ নাম, পর্ব্বতে মহাবল পরাক্রম বানর-রাজ অতি ভীত উত্তমাশ্রমাবলম্বী বা অধমাশ্রমাবলম্বী হউক, ভক্তি হইয়া চারিজন মন্ত্রির সহিত বাস করিতেছেন। থাকিলেই আমার ভজনে অধিকারী হইতে পারে। বানররাজ, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বালি কর্তৃক পরাজিত ও হে তাপসি! আমার অভক্ত ব্যক্তিরা যজ্ঞ, দান, : হৃত-সর্ব্বস্ব হইয় তাহার ভয়ে ঋষি শাপে বালির তপস্যা ও বেদ-বিহিত কর্ম্মানুষ্ঠান করিলেও কখন অগম্য ঋষ্যমূক পর্ব্বত আশ্রয় করিয়াছেন, এঙ্কণে আমার দর্শন লাভ করিতে পারে না । হে ভামিনি ! ! আপনি সেই স্থানে গমন করিয়া বানর-রাজ মুগ্রীবের সেই হেতু মদ্ভক্তির উপায় ংে নিকট সংক্ষেপে সহিত সখ্য করুন, তিনি আপনার অভিলষিত