পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । স্থবর্ণ পীঠ ; তদুপরি জনকনন্দিনীর সহিত অবস্থিত ঐরামচন্দ্র ; তিনি বারাসনে আসীন ; তাহার নয়নযুগল বিশাল ; পরিধান বস্ত্র, তড়িৎ পুঞ্জ সদৃশ পত বর্ণ; তিনি কিরীট, হার, কেয়ূর কৌস্তভ, নূপুর, বলয় এবং বনমালা প্রভৃতি ভূষণে ভূষিত ; শরাসন যুগল-হস্তে লক্ষ্মণ র্তাহার সেবা করিতেছেন ;—সর্ব্ব ন্তর্যামী পরমাত্মা রামকে পরমভক্তি সহকারে সর্বদা । এইরূপে ধ্যান করিলে মুক্তি লাভ হয় ; ইহাতে । সন্দেহ নাই। তঁহার ভক্তোচ্চরিত তদীয় চরিত্র । একাগ্রচিত্ত হইয় অনবরত শ্রবণ করিবেন, তাহা । হইলে অগ্নি যেমন ক্ষণমধ্যে রাশি রাশি তুল ভস্মসাৎ ৷ করে, সেইরূপ তাহার পূর্বকৃত মহা মহাপাপরাশিও ! ক্ষণমধ্যে বিনষ্ট হইয়া যাইবে । বৈরিভাব পরিত্যাগ পুর্ব্বক অনন্যভক্ত হইয়া সেই পুরাণপুরুষ পরিপূর্ণ : স্বরূপ একমাত্র রামকে ভজন করুন। তিনি নাম । রূপ বৰ্জিত ; মনে মনে সর্ব্বদা তাহার ব্রহ্মরূপ ভাবনা করিতে হইবে । * मछै। यथTामू जमक्षु । সপ্তম অধ্যায় । রাবণ, কালনেমির অমৃততুল্য বাক্য শ্রবণ করিয়া যেরূপ অতি উত্তপ্ত ঘৃত, জল বিলুসংযোগে প্রজ্বলিত হয়, সেইরূপ ক্রোধারুণিতলোচনে জুলিয়া উঠিল । তুই আমার আদেশপালনে পরামুখ, দুরাত্মা ; তোকে নিহত করিব । তুই শত্রুদিগের নিকট কিঞ্চিং গ্রহণ করিয়া ধনলোভে ঠিক যেন রাম-ভূত্য দ্যায় হইয়া বলিতেছিস্ । কালনেমি এই বলিল ;–“দেব ! ক্রোধে কাজ কি ? যদি আমার বাক্য আপনার মনোনীত না হয়, তাহা হইলে ( আপনি স্বাহ৷ বলিতেছেন) গিয়া তাহা করিতেছি " এই বলিয়া মহামুর কালনেমি রাবণের প্রেরিত হইয়া হনুমানের বিঘ্ন করিবার জন্য সত্বর গমন করিল। সেই খল, হিমালয়ের পার্শ্বে (মায়াবলে ) তপোবন নির্ম্মাণ করিল এবং তাহাতে মুনিবেশ ধারণপূর্বক শিষ্যগণে পরিবৃত হইয়া রহিল। সেই স্থানটী ক্ষীরোদগামী মহাত্মা পবন-নন্দনের পথিমধ্যে অবস্থিত। এদিকে হনু, মানু যাইতে যাইতে তথায় উৎকৃষ্ট আশ্রম দেখিতে

  • --“बहन भरन मर्कन। उछमों कङ्गन ।* ठिनि श्वप्र६ নামৰূপ বর্জিত, কিন্তু এই ভুবনের নামরূপ তাহ হইতেই হইতেছে" এরূপ অম্বুবাদও মুসঙ্গত ।

> oむ পাইল। শ্রীমন পবন-নন্দন মনে মনে চিত্ত৷ করিতে লাগিল, আমি ত পূর্ব্বে এই উৎকৃষ্ট মুনিমণ্ডল দেখি নাই; তবে কি আমি অন্যপথে আসিয় পড়িয়াছি ?—ন-আশ্রম না হইলেও আশ্রম বলিয়া আমার মনের ভ্রম হইতেছে । যাহাই হউক আশ্রমে প্রবেশ পূর্বক সম্পূর্ণরূপে মুনিগণকে দর্শন করিয়া কিছু জলপান করি ; পরে সর্ব্বোত্তম দ্রোণ পর্ব্বতে গমন করিব।” এই বলিয়া আশ্রমে প্রবেশ করিল। আশ্রমট চতুর্দিকে একযোজন বিস্তৃত ; নির্দোষ ও নির্ম্মল স্বরূপ ; কদলী, শাল, খর্জুর, পনস প্রভৃতি পাদপ শ্রেণীর, শাখা সকল সুপক্ক ফলভরে নম্র হওয়ায় আশ্রমট তদ্ধার কাছন্ন হইয়া রহিয়াছে ; তথায় বৈরভাবের চিহ্নমাত্র নাই ; রাক্ষস কালনেমি, সেই রম্য মহাশ্রমে কাপট্য অবলম্বনপূর্বক শিবপূজা করিতেছিল হনুমান, গৌরবুখুর্দ্দক মহামুরকে অভি. বাদন করিয়া কহল। ভগবন। আমি রামদূত ; আমার নাম হনুমানৃ; রামের অত্যন্ত আবশ্বকীয় কার্য্যের জন্য ক্ষীর-সমুদ্রে গমন করিতে উদ্যত হইয়াছি; ব্রহ্মন। আমি পিপাসাকুল হইয়াছি; হে মুনির । আমাকে বলিয়া দিন—কোথায় জল আছে ; আমি ইচ্ছামত পান করিতে অভিলাষ করি। মারুতির সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া কালনেমি তাহাকে বলিল —“তুমি আমার কমণ্ডলু জল পান করিতে পার ; এবং এই সমস্ত পদ্ধ ফল ভোজন কর; তৎপরে এস্থানে বিশ্রাম কর ; মুখে নিদ্র যাও; তুরী কিছুমাত্র নাই। আমি, ভূত, ভবিষ্যৎ, বর্ত্তমান দেখিতে পাইতেছি। লক্ষ্মণ এবং সমস্ত বানরগণ, রাম কর্তৃক অবলোকিত হইয়া উখিত হইয়াছেন। তাহা শুনিয়া হনুমানূ বলিল;—“আমার তৃষ্ণ অতিরিক্ত হইয়াছে, কমণ্ডলু জলে তাহার শাস্তি হইবে না; অতএব আমাকে জলাশয় দেখাইয়। দিন ।” কালনেমি “আচ্ছ।" বলিয়া মায়ানির্ম্মিত একজন বটুকে বলিল"অহে বটু! পবন-নন্দকে বিস্তীর্ণ জলাশয় দেখাইয়া দেও ( বলিয়া হনুমানের প্রতি বলিল ) নয়নদ্বয় মুদ্রিত করিয়া জলপান কর গিয়া, তৎপরেই আমার নিকট আইস, আমি তোমাকে মন্ত্রোপদেশ করিব, সেই মন্ত্র প্রভাবে ওষধিসকল দেখিতে পাইবে।” বটু “যে আজ্ঞা" বলিয়া সত্বর জলাশয় দেখাইয়া দিল, হনুমান, সেই জলাশয়ে নামিয়া মুড়িত-নয়নে জলপান করিতে লাগিল । অনস্তর, মহামায়াবিনী ঘোর-রূপিণী:মকী মহাবেগে আসিয়; মহাকপি পবনতনয়কে গ্রাস করিতে