পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । কর; হে অনঘ! সত্বর ভূতলে গিয়া আমার কার্য্য , ব্যথিত ও বিষ হইলেন। বিভীষণ এবং বানর কর”; এই কথা বলিলে দেব সারথি মাতলি তাহাকে শ্রেষ্ঠগণও ব্যথিত হইয়াছিল। সেখানে দশবদন (ইন্দ্রকে ) নমস্কার করিয়া সেই উত্তম-সুন্দনে বিংশতুিবাহু গৃহীত্বশাসন বাক মৈনাক-পর্ব্বতে হরিতবর্ণ অশ্ব যোজনা করিলেন । স্তায় দৃষ্টিগোচর হইতে লাগিল। রামচন্দ্র, কোপr অনন্তর মাতলি, রামচন্ত্রের বিজয় উদ্দেশে ; কুণিত-নয়নে ভ্রকুটা করিয়া যেন রাক্ষসদিগৰে স্বৰ্গ হইতে রাম সমীপে সমাগত হইলেন ; ; নিঃশেষে দগ্ধ করত নিজের অনুরূপ ক্রোধ প্রকাশ পরে অন্ত সকলের অদৃশু সেই রথে অবস্থিত | করিলেন। হস্তে ইন্দ্রধনু (রামধনু) সদৃশ অদ্ভূত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে রামকে বলিলেন;–“রঘু- শরাসন এবং কালান্ধি সদৃশ বাণ গ্রহণ করিয়া যেন বঃ ! দেবরাজ আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন ; ; দৃষ্টিপাতে দগ্ধকরুত সমাপস্থিত শক্রকে অবলোকন >>& হে প্রভু ! এইরখ, দেবরাজের ; আপনি শত্রু জয় করিবেন বলিয়া ইহা প্রেরিত হইয়াছে। হে মহারাজ ! ইন্দ্র, অলস্কৃত ইন্দ্র-ধনু, অভেদ্য কবচ, খড়গ এবং দিব্য তৃণীর-যুগল প্রেরণ করিয়া- ৷ ছেন। হে রাম! আমি সারথি ; এই রথ ; ইহাতে আরূঢ় হইয়া দেবরাজ যেমন বৃত্রাসুরকে নিহত করিয়াছিলেন, হে দেব ! আপনিও সেইরূপ রাক্ষস । রাবণকে বধ করুন" মাতলি ইহা বলিলে রামচন্দ্র । সেই রথ-শ্রেষ্ঠকে প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করিয়া লোকসকলকে আনন্দিত করত রথে আরোহণ করিলেন। অনস্তর, মহাত্মা রাধ ক্রুং বুদ্ধিমান রাবণের রোম হর্ষণ ভীষণ মহাযুদ্ধ হইয়াছিল। পরমাস্ত্রজ্ঞ রাঘব, রামস-রাজের আগ্নেয় অস্ত্র-আগ্নেয় অস্ত্র দ্বারা ; এবং দৈব অস্ত্র—দৈব অস্ত্র দ্বারা নিবারণ করিতে | লাগিলেন। তাহার পর, অস্ত্র-বেত্তা রাবণ, অত্যন্ত কে পশ্লিষ্ট হইয় রামের প্রতি ঘোর রাক্ষস-অঞ্জ পরিত্যাগ করিল রাবণের শরাসন-মুক্ত সুবর্ণ পুঙ্খ সুপ্রভ শর-নিকর মহাবিষ ভুজঙ্গ হইয়া রাঘবের চতুর্দিকে নিপতিত হইতে লাগিল। তখন তথায় সেই সকল সৰ্পমুখ শর জাল, মুখ দ্বারা অনল উদিগরণ করত দিক্ বিদিকৃ সমস্ত আচ্ছন্ন করিয়া কেলিল। তখন রাম, চতুর্দিক পরিপূর্ণ সর্পরাজি অবলোকন করিয়ু প্রসিদ্ধ ঘোরতর গরুড় অস্ত্র রণস্থলের সম্মুখে প্রবর্ত্তিত করিলেন। রাম নিক্ষিপ্ত সেই সকল বাণ গরুড়রূপী সর্গ-শত্রু হইয়া চতুর্দকের সকল সর্পবাণ ছেদন করিয়া ফেলিল। রাম, করিলেন। কালরূপী রাম, যেন তেজে প্রজ্বলিজ হইয়া সকল লোকের সমক্ষে পরাক্রম প্রকাশ করিতে আরস্ত করিলেন । রাম শরাসন আকর্ষ৭ পুর্ব্বক রাবণকে প্রতি-প্রহার করিয়া বানর-সৈন্স দিগকে আনন্দিত করিলেন এবং স্বয়ং কালাস্তকের স্তায় বিপ্লাজ করিতে লাগিলেন । শত্রুর প্রতি ধাক মান রামচন্দ্রের ক্রোধ ভীষণ বদন মণ্ডল নিরীক্ষণ করিয়া সর্ব্বভুতই ভয়াকুল হইল ; এবং পৃথিবী কম্পিত হইল। মহারেীন্দ্র রাম, অতি-দাকু৭ উৎপাত এবং ভয়াকুল ভূতসকল অবলোকন করিয়৷ রাবণের ভয় সঞ্চার হইল । দেবগণ ও সিদ্ধগন্ধর্ব্বকিন্নরগণ বিমানে অবস্থিত হইয়া লোক-প্রলয়-কঃ আড়বকাদি-যুদ্ধের ন্যায় সেই মুমহৎ-যুদ্ধ দর্শন করিতে লাগিলেন । রাম ঐন্দ্র অস্ত্র গ্রহণ করি। রাবণের মস্তক ছেদন করিলেন । মনস্তুঃ, যেমন তালগুরু হইতে ফরাজি নিপতিত হ, রাবণের বহুতর মস্তক শোণিতপুত হইঃ সেইরূপ গগণ হইতে পতিত হইতে লাগিল। তখন দিন, রাত্রি, সন্ধ্য,অথবা দিঘুগুল কিছুরই প্রকাশ ছিল না, কিন্তু সেই যুদ্ধে রাবণের সেই কবন্ধৰূপ ৰাহারও দৃষ্টিগোচর হয় নাই। কেন না যতবার মস্তক ছিন্ন ; হইয়াছিল, ততবার পুনরায় উদ্ভূত হইতে থাকিল । অনস্তর, রাম বিম্মিতচিত্ত হইলেন। পুনঃ পুনঃ উদ্ভূও সমানতেজ মস্তক একশত একবার ছিন্ন হইল ; কিন্তু তাহাতে রাবণের প্রাণনাশ বা চেষ্ট-নিবৃত্তি হইত্বে দেখা গেল না । অনস্তর সর্ব্বাস্ত্র-বেত্ত্ব বহু-সত্ত্ব সমরে তদীয় অস্ত্র নিরাকৃত করলে, দশানন, তখন সম্পন্ন কৌশল্যানঙ্গ-বন্ধন ধীর রাঘব চিন্তু করিত্বে রামের উপর দারুণ শর বৃষ্টি করিতে লাগিল। মন- লাগিলেন ;—"ষে যে বাণে মহাবল পরাক্রম দৈত্ত, স্তর, অনায়াসকারী রামকে পুনরায় শরসমূহ সকল নিহত হইয়াছে এই ত সেই সমস্ত বাণ, প্রহারে পীড়িত করিয়া ঘোরশরে মাতলিকে বিদ্ধ রাবণ বধে ইহাৱা নিশ্বল হইল”। রাম এইরূপ করিল। রাবণ, সাতিশয় ক্রোধে রথমধ্যে কাঞ্চনময় | চিন্তাকুল হইলে, সমীপস্থিত বিভীষণ, রাস্বৰকে এই রথ-ধ্বজ নিপাতিত করিয়া ঐশ্র-অশ্বদিগকে আঘাত কথা বলিল ;" ইহার বাহু বা মস্তক সকল, ছিদ্ধ করিল। তখন হরিকে কাতরের স্তায় হইতে দেখিয়া হইলেও পুনর্ব্বার অবিলম্বে উৎপন্ন হইবে, ভগ দেবগণ, গন্ধর্ব্বগণ, চারণগণ পিতৃগণ এবং মহর্ষিগণ বানু স্বয়স্থ এই কথা বলিয়াছেন; ইহার নাভি,