পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫০ অধ্যাত্ম-রামায়ণ । অনুগমন করিল। ক্ষত্রিয়, বৈষ্ঠ, শুদ্র, অন্তান্ত পিতামহের প্রার্থনাক্রমে দেবগণের সমক্ষেই মহা জাতি এবং সুগ্রীবপ্রমুখ বানরশ্রেষ্ঠগণ সকলেই জ্যোতির্ম্ম হইয়া দেবগণের দৃষ্ট প্রতিবার্তা রঙ হৃষ্টচিত্তে গমন করিতে লাগিল ; সকলেই স্নান | চক্রাদি যুক্ত চতুভূজ মূর্ত্তি হইলেন। সৌমিত্র, করিয়া বিশুদ্ধ হইয়াছিল এবং শুভ শব্দ উচ্চারণ বিষ্ণু শয্য-স্বরূপ অতি-বিচিত্র-কায় অনন্ত হইয়াকরিতেছিল। তখন কেহই সংসার-দুঃখ-কাতর, ছিলেন ; কৈকেয়ী-পুত্র ভরত ও লবণাকুর বিনাশী দীন, অথবা বাহমুখে আসক্ত ছিল না। জনগণ শত্রুঘ্ন, চক্র ও শঙ্খ হইলেন। সীতা পূর্ব্বেই সংসার-বিরক্ত হইয়া পশু ও ভৃত্যবর্গ সমভিব্যাহারে লক্ষ্মীরূপিণী হইয়াছিলেন । পুরাণ পুরুষ রামরূপী সাক্ষাৎ আনন্দময় রামের অনুগত হইয়া গমন বিষ্ণু, অমুজগণ সমভিব্যাহারে পূর্ব শরীরে তেজোকরিতে লাগিল। তথায় যে সকল অদৃশু প্রাণী ময় দিব্য-মূর্ত্তি হইলেন ; মুরেন্দ্র-প্রমুখ দেবগণ, ছিল, তাহারা—এবং অন্যান্য স্থাবর জঙ্গম সকল সিদ্ধগণ, মুনিগণ, যক্ষগণ, এবং পিতামহ-প্রভৃতি, প্রাণীই বৈরাগ্যযুক্ত হইয়া সাক্ষাৎ পরমাত্মা অনন্ত- চতুর্দিকে দণ্ডায়মান হইয়া পরমেশ্বরের স্তব শক্তি পরমেশ্বরের অনুগমন করিল , অযোধ্যা- কীর্ত্তন ও পূজা করত, সফল-মনোরথ হইয়া আনন্দে নগরে এমন কোন প্রাণী ছিল না; যে রামের প্রতি প্লাবিত-চিত্ত হইলেন। তখন মহাত্মা বিষ্ণু, ব্রহ্মাকে অদিক্তচিত্ত হইয়া রামের অনুগমন করে নাই । বলিলেন;–“এই সমস্ত ধর্ম্মিষ্ঠগণ আমার ভড় ও সেই রাজা রামচন্দ্র, গমন কৰিলে সমস্ত নগরী প্রাণি অনুরক্ত ; অধিক কি ইহাদিগের মধ্যে তির্যাগ, শুক্ত হইয়াছিল। , জাতিরাও—আমি স্বর্গে গমন করিতেছি—তথাপি ক্রমে ঐরাম, নগর হইতে দূরে গিয়া নারায়ণ- আমার অনুগমন করিয়াছে। ইহারা বৈকুণ্ঠের নয়ন-সস্তুত সরযূ নদী দেখিতে পাইয়া আনন্দিত সমান লোক প্রাপ্ত হউক ; আমার আজ্ঞা ক্রমে তুমি হইলেন। তথায় তিনি স্বীয় পবিত্র বিরাট মূর্ত্তি ইহাদিগকে তথায় লইয়া যাও স্মরণ করিয়া এই নিখিল জগৎকে সৃদয়ে অবস্থিত ব্রহ্মা নারায়ণের বাক্য শ্রবণ করিয়া বলিলেন – দেখিতে পাইলেন। অনস্তর মহান পিতামহ, “এই সকল সঞ্চিত-পুণ্য-রাশি আপনার ভক্তগণ, সকল দেবতাবৃন্দ, ঋষিগণ এবং সিদ্ধসমূহ তথায় মদীয় লোকোপরি বিরাজমান বিচিত্র ভোগ স্থান সমাগত হইলেন। অনন্ত পার আকাশ, হর-সেবিত সাত্তানিক লোকে গমন করুন ; রাম হে! যে সকল স্বর্য-সমুজ্জ্বল কোটি কোটি বিমানে আবৃত হইল মনুষ্য, মৃত্যুকালে অজ্ঞানেও আপনার পবিত্র নাম তথায় স্বয়ং-প্রকাশ অতিপ্রধান পুণ্যশীল-শ্রেষ্ঠগণে কীর্ত্তন করে ; তাহারাও যোগলভ্য সেই সমস্ত সমারত দীপ্তিসম্পন্ন নভোমণ্ডল জ্যোতির্ম্ময় হইল লোকে গমন করে। অনস্তর, বানর রাক্ষস প্রভৃতি হগন্ধবায়ু বহিতে থাকিল। পুষ্পসমূহবর্ষণ হইতে | সকলেই অতি আনন্দে সরযূ জল স্পর্শ করিয়া লাগিল। স্বৰ্গীয় বাদ্য বাদিত হইল। বিদ্যাধর দেহ ত্যাগ করিল। তাহাতে ভলুক ও বানর কিন্নরগণ গান করিতে থাকিল। অনন্তশক্তি রাম, শ্রেষ্ঠগণ যে যে দেবতার অংশ-দস্তুত, সেই সেই চরণযুগলে একবারমাত্র সরযুজলস্পর্শ করিয়৷ তদুপরি পূর্বতন রূপ প্রাপ্ত হইল। বানর-প্রবীর সুগ্রীব, পরিক্রমণ করিলেন। ব্রহ্মা, তখন কৃতাঞ্জলিপুটে স্বর্থ্যবীর্ঘ্যে উৎপন্ন বলিয়া স্বর্ষ্যে মিলিত হইল রামকে বলিলেন;–“হে পরাত্মনৃ! আপনি সদা অনস্তর সেই সকল মনুষ্যগণ সয়ু জলে নিমগ্ন নন্দময় পূর্ণ পরমেশ্বর বিষ্ণু ; আপনি স্বীয় অদ্বিতীয় | হইয়া মনুষ্যকলেবর পরিত্যাগ করিল। অনন্তর ঐশ তত্ত্ব অবগত আছেন। হে অখিল জগৎপতে স্বৰ্গীয় আভরণে ভূষিত ও দিব্যবিমানে আরূঢ় হইয়। আমি দাস ; তথাপি আমার বাক্য রক্ষা করিলেন। সাস্তানিক নামক লোকে গমন করিল। তির্য্যগ, হে সর্ব্বজ্ঞ ! আপনি ভক্তবৎসল বটে ; আপনি | জাতিরাও ঐরামকর্তৃক অবলোকিত হওয়াতে ভ্রাতৃগণের সহিত, এক আদ্য বৈষ্ণব-দেহে প্রবিষ্ট জল প্রবিষ্ট হইবামাত্র স্বর্গে গমন করিল। যে হইয়া দেবগণকে রক্ষা করুন। অথবা যদি রুচি ! সকল জনপদবাসীলোক রামকে দেখিতে আসিয়াছিল; হয় ত সেই পরদেহে প্রবিষ্ট হইয়া আমাদিগকে | তাহারাও তদর্শনে মুক্তসঙ্গ হইল। তখন তাহারা রক্ষা করুন। আপনি সুরপতি বিষ্ণু ; আমি ভিন্ন | লোকগুরু পরমেশ্বর হরিকে স্মরণ করত সরস্থ জল অপর পুরুষবৃন্দ আপনাকে অবগত নহে। আপ- স্পর্শ করিয়া তৎক্ষণাৎ স্বর্গে গমন করিল।” BBBBB BBBB DDDBS BB BBBS BDDS DDBB BBBB BB BBBB u হউম ; আপনাকে পুনরায় নমস্কার।” তখন রাম, ভাগ এই পর্য্যম্ভই বলিয়াছিলেন। ষে ব্যক্তি,