পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>ペ অধ্যাপক বা তার সত্তামাত্রেই অন্য অন্য বৃত্তির বিকাশের সহায়তা করতে পারে । তাই বলে আমি এ কথা স্বীকার করতে পারি না যে মানুষের চিত্ত কোনও সময় নীড়ে আশ্রয় নেয় বলে’ই মহাকালের নির্বাধ গতিতে তার আনন্দ নেই। প্রেম’ শব্দটিকে যদি তুমি কোনও একটি বিশেষ জাতীয় আনন্দের মধ্যেই আবদ্ধ করতে চাও, সে হবে তোমার একটা শাব্দিক পরিভাষা মাত্র । ব্যাপকভাবে দেখতে গেলে সে তাকে ছাড়িয়ে অনেক দূরে চলে যায়। সেখানেও যদি তুমি যৌনবৃত্তির ছায়া দেখতে চাও তবে সে হবে তোমার একটা বৈশ্লেষিক অদ্বৈতবাদ । সেখানে বাস্তবতার রূপ ছেড়ে তোমাকে আশ্রয় করতে হবে বিশ্লেষণকে এবং যে দোষ তুমি দিতে যাচ্ছিলে আমার তর্কের উপর সে দোষ হবে তোমারই ।” মঞ্জর বিরক্ত হয়ে বল্লে—“এ তোমার হেঁয়ালিব পাচ কম্বা মাত্র । নারীর মোহ, নারীর কামনা কতদূর পৌছেছে, কি সম্পদ দান করেছে মামুষের বিচিত্র বিকাশের মধ্যে, তার ইয়ুত্তা করা যায় না। আজকালকার বড় বড় পণ্ডিতেরা এর সূক্ষ্ম তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে যত বড় বড় কথাই তোমরা বল না কেন, কবির কাব্য, চিত্রীর চিত্র, ভক্তের ভগবান, সবখানেই নামা মূর্ত্তিতে দেখা দিয়েছে নারীর প্রতি কামনা। এই কামনা ছাড়া একজনের আত্মার আর একজনের আত্মার মধ্যে ব্যাপ্ত হওয়ার অন্য কোনও পথ নেই। নারীর আত্মা আকাশ নয় বা পুরুষের আত্মাও বায়ু নয় যে ছুটে গিয়ে তাকে পূর্ণ করবে ।” কানাই বল্লে—“আমার মনে হচ্ছে তোমার হিসেবে একটু ভুল হচ্ছে। আকাশকে বাতাস ব্যাপ্ত করে, কিন্তু সকল ব্যাপ্তিরই যে একই রূপ তা নয় । আকাশটা নিরাবরণ মাত্র । এই জন্যই বাতাস গিয়ে