পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○3 অধ্যাপক তার মনের একটি কোণ যেন সহসা উদ্ভাসিত হয়ে উঠল একটা নবীন জ্যোতিরেখার সঙ্কেতে । একবার মনে এল স্বকু-দা’র ছবিটি, কিন্তু ছায়ায় মলিন হয়ে গেল সে ছবি, বলপূর্বক যেন হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করল এই কৃষ্ণাঙ্গ বলিষ্ঠ যুবকটি তার ওজস্ব শক্তিতে। সে নির্বাক হয়ে মনে করতে লাগল—এ রকম আব একটি মানুষ ত দেখি নি । এই ত পাশেই রযেছে একটি বিলাতফেরৎ ব্যারিষ্টার, মুন্দর, স্বসজ্জিত, আধুনিক আদব-কায়দায় দুরন্ত, কিন্তু কত ক্ষুদ্র এ এর কাছে, যেমন তেজস্বী প্রদীপের কাছে জোনাকী । তার রূপের অভাব তাকে স্পর্শ করল না, স্বচ্ছ হয়ে সে মূর্ত্তি প্রবেশ করল তার অস্তরের মধ্যে । পুরুষের পৌরুষ সম্বন্ধে আজ যেন সে নূতন কবে সজাগ হ’ল, নূতন করে অনুভব করল যেন সে নারী, আর তার সম্মুথে এসে দাডিয়েছে একটি পুরুষ। তার অলক্ষ্যে তার কপোলে ফুটে উঠল ঘর্ম্মবিন্দু, অরুণাভ হয়ে এল তার মুখমণ্ডল । সে একটু হেসে কানাইকে জিজ্ঞাসা করলে—“আপনি এত কথা শিখলেন কোথা থেকে ?’ কানাই আবার হে হে করে হেসে উঠল । কানাই বল্লে—“শিখলুম কোথা থেকে ? সকলে যেখান থেকে শেখে, সেখান থেকে । আমার যা কিছু শেখ সমস্তই আমার গুরুর কাছ থেকে ৷” গুরুর কথা শুনেই স্বজাত একটু দমে গেল। সে সাহস করে আবার জিজ্ঞাসা করলে—“আপনার আবার গুরু টুরু আছে নাকি ?” “এই দেখুন, এ কি একটা কথা হ’ল ? গুরু না থাকলে যে গরু হয়ে যেতাম !”

  • আপনার এই গুরুটি কে ?”