পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ 8br অধ্যাপক চরিত্রের বর্ণনায়। আরবী ফারসী গ্রন্থের মধ্যে কদাচিৎ দু’একখানা বই সংস্কৃতে অনূদিত হয়েছে। এটা ভাল কি মন্দ সে বিচার আমি করছি না, আমি খালি করছি পরস্পরের সম্পর্ক বিচার । কিন্তু ক্রমশঃ যখন মুসলমানের এদেশে স্থায়ী হয়ে বসতে লাগল তখন আমরা দেখতে পাই যে মুসলমান ও হিন্দুধর্ম্মের মিলনে অনেক নৃতনপ্রকার সর্ব্বজনীন ধর্ম্মের উৎপত্তি হ’তে লাগল। দাদু, কবীর, নানক প্রভৃতি এর দুষ্টান্ত । অনেক স্বফী সম্প্রদায়ের মধ্যে হিন্দুর ভক্তিধর্ম্ম ও যোগধর্ম্মের প্রভাবেব পরিচয় পাওয়া যায়। দারা শিকো লিখলেন ‘যুগ্মসাগরের মিলন’ । হিন্দুরাও পীর ফকিরের যথেষ্ট সমাদর করত এবং হয় ত বা অদ্বৈতবাদ থেকে একেশ্বরবাদে আমাদের ধর্ম্মের যে পরিণতি ঘটেছে তার মধ্যেও মুসলমানদের কিছু দান থাকা অসম্ভব নয় । কিন্তু মুসলমানদের সভ্যতার একটা প্রধান দান ছিল তাদের শিল্পরচনা, তাদের ইতিহাস-রচনা, তাদের সঙ্গীতকলা, তাদের স্থাপত্য । এ সমস্ত দিকেই মুসলমানের হিন্দুদের সহযোগে বা অসহযোগে আপন জাতীয় ভাব প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে অনেক মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাদের অনেকে এখনও প্রাতঃস্মরণীয় হযে রয়েছেন । মুসলমানদের মন্দির ভাঙা ব; মুর্ত্তি ভাঙা দেখে সাধারণতঃ মনে হয় যে তাদের আদর্শের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য খুব বেশী, কিন্তু একটু নিপুণভাবে বিচার করলে সে কথা ঠিক বলে মনে হয় না। ওটা হ’ল তাদের ধর্ম্মগত একটা উগ্রতা মাত্র । আমাদের যথার্থ বিরোধ হচ্ছে ইউরোপীয় সংস্কৃতির সহিত ।” প্রভা বল্লে—“আপনার এ কথা ত সহজে মানতে প্রবৃত্তি হয় না । একজন ইংরেজকে আমরা যত সহজে আত্মীয় মনে করতে পারি একজন মুসলমানকে ত তা পারি না ।”