পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ( { কানাই শব্দমাত্র না করে আবার একটি নমস্কার করে ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । সুজাতা বসে’ ছিল তার আসনের উপর, নিনিমেষনেত্রে দেখছিল শক্তির অনায়াস লীলা । পুরুষের অন্তর-পৌরুষ যেমন নারীর চিত্তকে অভিভূত করে তেমনি অভিভূত করে তার বাহ বল, সাহস ও তেজস্বিতা । আদিম কাল থেকে নারী পুরুষের বাহুর আশ্রয়ে আপনাকে রক্ষা করে এসেছে। তাই বলিষ্ঠত, সাহস ও তেজস্বিতার প্রতি নারীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা তার ধমনীর রক্তে তার অনাদিকালের পিতামহীর কাছ থেকে সঞ্চারিত হয়ে এসেছে । আজ একটি স্থানে স্বজাত দেখল বাহুর বল, অন্তরের বল ও বুদ্ধির দীপ্তি এই ত্রিবেণীর পুণ্য সঙ্গম । তার সমস্ত শরীরমন একটা নূতন চাঞ্চল্যে সাড়া দিয়ে উঠল । কানাই যখন ধীর পদসঞ্চারে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল, সুজাতার ইচ্ছা হ’ল সে দৌড়ে গিয়ে ধরে’ এনে তাকে বসায় । এমনি তার হৃদয় উদ্বেল হয়ে উঠেছিল যে সে থমকে গিয়ে নিজের দিকে তাকাল । হঠাৎ যেন তার মনে হ’ল যে সে সত্যই বুঝি এই রকম একটি দুর্ব্বিনীত কর্ম্ম করে বসেছে । আস্তে আস্তে চারিপাশে অবলোকন করে তার মনটা সুস্থ হ’ল যে অন্তত: এমন একটা কাজ সে করে’ বসে নি । রাত্রে বিদ্যালয়ে ফিরে স্বজাত কিছুই খেলে না, শয্যাশ্রয় করলে । যতবার চোখ বোজে, ভেসে ওঠে কানাইয়ের মূর্ত্তি । বারবার চেষ্টা করতে লাগল স্বকু-দা’কে মনের সামনে টেনে আনবার, কিন্তু যতই টেনে আনতে চায়, মনের মধ্যে ভেসে ওঠে কানাইয়ের মুখ । তার দীপ্তিব্যঞ্জক ওজস্বিনী ভাষা তার কাণের মধ্যে ঝঙ্কৃত হয়ে উঠতে লাগল । সে আপনাকে তিরস্কার করতে লাগল—কোথাকার কে একজন, চায়ের