পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(?切ー অধ্যাপক অধিকাংশের পক্ষেই এই পাওয়াটা অর্থপ্রাপ্তি । নিজেদের উপর কোনও ভরসা নেই, কোনও সাহস নেই । নিজেদের বিদ্যাকে কার্য্যে প্রয়োগ করতে তারা অসমর্থ। কোন কার্য্যের তারা উপযুক্ত, কোথায় তাদের রুচি, এ সমস্ত বিষয়েই তারা একান্তভাবে অনভিজ্ঞ । ঘোড়াকে যেমন ছোলার তোবড়া দেখালে সে হেষাধবনির সহিত সেখানে উপস্থিত হয় তেমনি চাকরীর বিজ্ঞাপন দেখলে এই সমস্ত উত্তীর্ণপরীক্ষ তরুণেরা তার জন্য আবেদন করে এবং ভাগ্যে যা জুটে যায় সেই জোয়ালটাই কাধে নিয়ে আজীবন চোখে ঠুলি লাগিয়ে চাবুকনিদিষ্ট পথে ছুটতে থাকে । নিজেদের রুচি, দক্ষতা, আদশ, এ সমস্তই তাদের শিক্ষাজীবনে ধোয়ার মত নিতান্ত মিথ্যা হয়ে থাকে, তাই জীবনে সেগুলির তারা সন্ধান পায় না | মেয়েদের জীবনের প্রধান উদ্দেশু হচ্ছে বিবাহ । কাজেই, অধিকাংশ নারী আপন ভাগ্য নির্ণয় করতে অক্ষম। সৌভাগ্য ব৷ দুর্ভাগ্য যে রকম ভার তাদের কাধে পড়ে আমরণ সেই ভারটুকু প্রচলিত পন্থা থেকে কিছুমাত্র বিচু্যত না হয়ে তাবা বহন করে যাবে, এই হ’ল বিবাহিত মেয়েদের জীবনের তাৎপর্য্য । সৌভাগ্যক্রমে ভাল বিবাহ হ’লে আলস্তে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ ও স্বামীর সৌভাগ্যে সৌভাগ্যবতী হয়ে আপন আপন অভিমান, আলস্য ও বিলাসের প্রশ্রয় দেওয়া—এই হ’ল নারী জীবনের পরিণতি । তাদের প্রত্যেকের মধ্যে যেটুকু ব্যক্তিত্ব বা চরিত্রবল আছে, সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে তাকে প্রকাশ করে? আপন আপন সংসারকে স্বধী করা—এই হচ্ছে নারীর কর্ত্তব্য ও সমাজ ব্যবস্থা । র্যার প্রাণবিজ্ঞান অবগত আছেন তারা জানেন যে, কি স্ত্রী, কি পুরুষ, উভয়ের মধ্যেই স্ত্রীত্ব ও পুরুষত্ব-নির্ণায়ক ধর্ম্ম নূ্যনাধিক পরিমাণে