পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ ԳՉ অধ্যাপক “তুমি যদি তোমার মতই প্রকাশ করতে চাও তা ত করতে পার কথাবার্ত্তায় বন্ধুর সঙ্গে । না হয় একখানা বই লিখতে ।” স্বজাত আবার হেসে বল্লে—“মত প্রকাশ করা আর নিজেকে প্রকাশ করা, এ দুটো এক বস্তু নয় । মত হ’ল জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করা জীবনের ক্ষণপ্রতিবিম্বিত একটি ছায়ামাত্র । তার গতি নেই, বেগ নেই, সে জড় । তা পায় তার গতি এবং বেগ যখন তা যুক্ত হয় জীবনের স্রোতের সঙ্গে " সুকুমার আবার বল্লে—“তোমার কথা আমি ভাল বুঝতে পারছি না। কত মহাপুরুষদের বাক্য এবং মত জগতে কত অসাধ্য সাধন করে গেছে ।” স্বজাত বল্লে—“তখনই মহাপুরুষদের বাক্য সফল হয়েছে, যখন তারা জীবনের ইঞ্জিনটা জুডে দিয়েছেন সেই মতের সঙ্গে । নিছক মত হিসাবে মত একান্ত পঙ্গু, তার চলব।র ক্ষমতা নেই । যীশুখৃষ্ট ci są Bos:7* fitza Forgive thy neighbours, ci rz s পুরোণে কথা, কিন্তু যখন ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে তিনি বল্লেন, ‘হে ভগবান, এদের অপরাধ ক্ষমা কর, এরা জানে না যে এরা কি করছে? তখন বোঝা গেল যে তিনি তার জীবনের প্রবাহ দিয়ে তার জড় মতটিকে স্পন্দমান করে তুলেছেন। সেইজন্য আজও সেই মতের বেগ শাস্ত হয় নি, সে দু'হাজার বৎসর ধরে ভেসে আসছে আপন দুর্দ্দমনীয় বেগে এবং আজ মহাক্ষোভের দিনেও আমাদের স্মরণ করিয়ে দি ছ সেই মহাপুরুষের জীবনকে ।” স্বকুমার আবার বল্লে—“কিন্তু জীবন দিয়ে মতকে সমর্থন করবে বা তকে বেগ দেবে, এর অর্থ কি ? জীবন ত জৈব ধর্ম্ম, রক্তস্রোতের প্রবাহে হৃদয়, ফুসফুস, প্লীহা যকৃতের সামবায়িক ও পারস্পারিক কার্য্যে হয় তার প্রকাশ । মতের পিছনে তা জুড়ে দেওয়ার অর্থ কি ?”