পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক S as, স্বজাত বল্লে—“এ ত অতি সহজ কথা।” নিমেষে তার মনে হ’ল কানাইয়ের সঙ্গে স্বকুদা'র পার্থক্য। কানাই যখন তর্ক করছিল তখন সে তার নিজের সত্তাকে ফেলেছিল হারিয়ে, নিজেকে একান্তভাবে অভিভূত করে অবলীলাক্রমে চলেছিল তার যুক্তিতর্ক। কিন্তু সাধারণ কথাও মুকুমারের বুঝতে দেরী লাগছে। তর্কে সে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ত নয়ই বরং দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বী । স্বজাত বল্লে—“অনেকগুলি বৃত্তির সামবায়িক ও পারস্পরিক সামঞ্জস্তে প্রকাশ পায় সেই বিশেষ ধর্ম্মট যাকে আমরা বলি জীবন । সমস্ত জীবনবৃত্তির যে একটা অখণ্ডত ও সমগ্রতা আছে সেই সমগ্রতার মধ্যে ধরা পড়ে জীবনের রূপ । যেমন আমাদের দেহের একটা জীবন আছে, মনেরও তেমন একটা জীবন আছে । এটা নিছক উপমা নয়, এখানে রয়েছে একান্ত সাদৃশু । দেহের মধ্যে দেখা যায় প্রত্যেকটি যন্ত্রের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ক্রিয় এবং সেই ক্রিয়াগুলির সামঞ্জস্তে তাদের একটা অখণ্ড এক-রূপতা এবং এরই ফলে প্রকাশ পায় দেহের জীবন । তেমনি আমাদের মনের মধ্যে রয়েছে নানা প্রবৃত্তি। বিভিন্ন প্রবৃত্তি বিভিন্ন দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায় আমাদের মনের গতিকে, কিন্তু তথাপি আমাদের চিত্ত একটি অখণ্ড স্পন্দন । নানা বুত্তির নানা ক্রিয়ার মধ্যে আছে একটা পারস্পরিক ও সামবায়িক সামঞ্জস্য । এই সামঞ্জস্তের মধ্যে যেটা ধরা পড়ে সেটাকে বলা যায় personality ৷ সেট। একট। সমগ্রপুরুষীয় অভিব্যক্তি । সেইখানে আমরা বহু হয়েও এক মত হচ্ছে আমাদের জ্ঞানবৃত্তির ক্ষণপ্রকাশ । সেই ক্ষণপ্রকাশটি যদি তার মধ্যে অভিব্যক্ত করতে পারে সমগ্র চিত্ত্বের সত্তাকে, অর্থাৎ যদি আমাদের চিত্তের অন্ত কোনও বৃত্তি তাকে বাধা না দিয়ে অগ্রণী করে তোলে তাকে তার সমগ্রের মুখপাত্র করে, তা