পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক yడి আবিষ্কার করবে যে, যে পথে তুমি আত্মপ্রকাশ করতে চলেছ সে পথ যথার্থ ন্যায়ধর্ম্মের পথ নয় ।” সুজাতা আবার বল্লে—“তা ত হ’তেই পারে । চলতে যাকে হবে তার প্রধান কাজ হচ্ছে পথে বেরিয়ে আসা । ভোলানাথের ঝুলিঝাড় ভূল বিকীর্ণ হ’তে পারে তার পথের মধ্যে, উদভ্রান্ত করতে পারে তার দি নির্ণয়কে। পূবকে সে মনে করতে পারে পশ্চিম, উত্তরকে মনে করতে পারে দক্ষিণ, কিন্তু পথে চলতে চলতে তার হয় পথের পরিচয় । ভুলে ভুলেই হয় ভুলের ক্ষয় । সব চেয়ে বড় প্রয়োজন চলা চলাই চলবার ভুল দেখায় এবং চলার দৃঢ়তা সম্পাদন করে । শিশু যখন প্রথম চলতে আরম্ভ করে তখন পদে পদে হয় তার পদস্থলন, যেখানে যাবার সেখানে না গিয়ে আর এক স্থানে গিয়ে হয় উপস্থিত । তাই বলে’ শিশুকে যদি রাখা যায় বসিয়ে বা খালি দেওয়া হয় তাকে হামাগুড়ি দিতে, সে কখনও চলতে পারবে না । চলবার সামর্থ্য হয়েছে বলে’ই শিশু হামাগুড়ি ছেড়ে চলতে আরম্ভ করে এবং চলার সহস্র বিপদ অতিক্রম করে চলাকে করে আনে সম্পূর্ণ। তাই, আমি যে ঠিক পথেই চলেছি এ কথা বলতে পারি না । চলাতে পাচ্ছি আমি আনন্দ । হয় ত এই চলার আনন্দকেই মনে করছি ঠিক পথে চলার আনন্দ । যখন দেখব যে চলার পথটা ঠিক নয় তখন পথটা যাবে আপনি বদলে, কিন্তু চলাটা দেবে আমায় অফুরন্ত আনন্দ । চলা বন্ধ করে চিরকাল স্থির হয়ে কখনও ঠিক পথ আবিষ্কার করব এ ভরসা নেই । মানুষ যখন প্রথম সাতার শিখতে যায় তখন সে জলে ভাসান দিতে জানে না। ডুবে যায়, নাকানি-চোবানি খায়, আবার ডোবে, আবার ভাসে, তবে সে শেখে সীতার ৷ ডাঙায় বসে’ সাতারের কল্পনা দ্বার সাতার শেখা যায় না ।