পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వై8 অধ্যাপক ঘেঁসলেই অর্থহানি । কোনও কোনও বিশেষ দিনে যদি সকলেই দোকান বন্ধ করে, তবে তারাও দোকান বন্ধ করে হরতাল জ্ঞাপন করে’ থাকেন । বিশেষত:, কর্পোরেশনে দেশীয় লোকের প্রভুত্ব হবার সঙ্গে সঙ্গে দণ্ড বা ক্ষতির ভয়ে দোকান বন্ধ করে হরতাল করে থাকেন এবং অনেকে হয় ত পশ্চাদার দিয়ে নৃIনাধিক কিছু কিছু ব্যবসা চালিয়ে থাকেন। ডাক্তার, উকীল, মোক্তার, এরাও এদিকে ঘেঁসতে পারেন না, কারণ ফল অর্থহানি ও অনর্থ প্রাপ্তি । কাজেই বাকী থাকেন ছাত্রের দল । এদের অনেকেই কলেজে যায় আসে পরস্পরের সঙ্গলোভে, ক্রীড়া-কৌতুকের লোভে এবং দিনটাকে কোনক্রমে ক্ষয় করবার জন্য । অনেকেই সারা বৎসর পড়াশুনা করে না । ভাল ছেলে যারা তারা পরীক্ষার তিন চার মাস পূর্ব্ব থেকে পড়া আরম্ভ করে এবং মন্দ ছেলেরা তারও অবসর পায় না । অনশনের এদের কোনও ভয় নেই, মাতার যত্নে ও পিতার অর্থে আহারের দ্বার সর্বদাই উন্মুক্ত । তা ছাড়া কোন রকমের উত্তেজনা স্বষ্টি হ’লে এর বেঁচে যায়, তা সে উত্তেজনা যে জাতীয়ই হোক না কেন । এদের কোনও কার্য্যে কোনও অসামঞ্জন্তের বোধ নেই, দেশের দুঃখে বিগলিতপ্রায় হয়ে অত্যুষ্ণ বক্তৃতা দিয়ে পরক্ষণেই “প্রিয়বান্ধবী” দেখতে যায় সিনেমা হাউসে । বাইশ তেইশ বছর পর্য্যন্ত এদের জীবনে কোন দানা বাধে না, উচ্ছল জলের মত ছুটে যায়, ফিরে আসে, কোথাও বাধা থাকে না । কঠোর সত্যের সামনে এরা দাড়াতে চায় না । মধুর চাটুবাক্যে এদের ফুলিয়ে তুললে এরা বেপরোয় হয়ে যা কিছু করতে প্রস্তুত। এই হ’ল সাধারণ নিয়ম । ব্যক্তিবিশেষে এর ব্যতিক্রম আছে, তারা নগণ্য এবং উল্লেখযোগ্য নয়। এরা অনেক পরিমাণে হাউয়ের মত, পলতের একটু আগুন ধরিয়ে দিলে অকস্মাৎ আকাশে উঠে যায় তীব্র বেগে, নেমে