পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক る。" স্তাবকতায় এরা ওঠে ফুলে, অমুশোচনা জাগবার হয় না অবসর । অবশ্ব ব্যক্তিবিশেষে হয় ত এর ব্যতিক্রম আছে । আমরা শব্দ যতটা করি তার চেয়ে বড় করে তুলতে চাই তার প্রতিধ্বনি । তাই এই বিপুল ছাত্রবাহিনীকে বিদ্যালয়ল্লষ্ট করে বড় বড় সভাষ এদের দ্বারা সভ্য-জনতার বৃদ্ধি করে তার প্রতিধ্বনি তুলি খবরেব কাগজে এবং সেই প্রতিধ্বনিতে আত্মপ্রসাদ লাভ করি আমাদের দেশহিতৈষণার সাফল্যে । সেই সাফল্য আমরা সার্থক করি আমাদের ব্যক্তিগত ভোট সংগ্রহে কিংবা লম্বা লম্বা টেলিগ্রামে সরকার বাহাদুরের নিকট আবেদন-নিবেদনের পাদপূরণে । ভারতবর্ষ চিরদিন ত্যাগধর্ম্মে দীক্ষিত । আমাদের সনাতন ধর্ম্ম বলে--ত্যাগের দ্বারা পাওয়া যায় অমৃত । এর মর্ম্ম আমরা ভুলে গিয়েছি, কিন্তু আমাদেব রক্তে বয়ে গেছে তার দীক্ষার মন্ত্র । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধি লাভ করতে হ’লে দেখাতে হয় ত্যাগের নজির । সে ত্যাগটা যার যত বেশী তাকে সেই পরিমাণে অকুত্রিম দেশবন্ধু বলে মনে করে থাকি । এ ত্যাগের একটা পরিচয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিভয়ে মতামত প্রকাশ করে’ জেল বরণ করা এবং তার পবে সেই জেলে যাওযা উপলক্ষ্য করে আপন অনুচরদের দ্বারা নানা আন্দোলন করে জেল থেকে মুক্তিলাভের জন্য নানা কোলাহল স্মৃষ্টি করা ও সেই কোলাহলকে প্রতিদিন খবরের কাগজে প্রতিধ্বনিত করা । বাগবলই যেখানে প্রধান বল সেখানে কোলাহল স্বষ্টির শুভ লগ্ন কিছুতেই উপেক্ষা করা যায় না । আর একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে ইংরেজের সঙ্গে অসহযোগ অবলম্বনে কে কতটা পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি সহ করেছে। আমাদের শাস্ত্রে দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় যে দরিদ্র যখন তার জীর্ণ বস্ত্রখানি দান করে কোনও মহৎ উদ্দেশ্যে, তখন সেই দানই