পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক `సెసి ভাবে আত্মপ্রকাশের মহিমামণ্ডিত নয় । সেটা হচ্ছে ক্রোধের অভিব্যক্তি । কামক্রোধের অভিব্যক্তিতে ক্ষয় অনিবার্য্য । সেই ক্ষয়ক্ষতি স্বীকারে প্রকাশ পায় অভিমান এবং দম্ভ । যথার্থ ত্যাগের মহত্ত্ব ও শুচিত। সেখানে নেই। বহু বৎসরের প্রচেষ্টায় আমরা সমর্থ হয়েছি কতক পরিমাণে আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসকসম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে । সেই জন্য আমাদের কোনও দেশবরেণ্য নেতা বারংবার এই কথাটি বলতে চেষ্টা করেছেন—. যা অন্যায়, যা পাপ, যা অহিতকর, এবং যারা তার প্রবর্তন করেছে, এ সমস্তকেই আমরা প্রতিরোধ করব, কিন্তু ঘৃণার দ্বারা নয়, হিংসার দ্বারা নয়, মৈত্রীর দ্বারা । এই ছিল আমাদের ভারতবর্ষের সনাতন মন্ত্র । এ মন্ত্র যে সকলে পালন করত তা নয়, কিন্তু এই ছিল আদশ । বলের দ্বারা বল প্রতিরোধ করব, চক্ষুর বদলে চক্ষু, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা উচ্ছিন্ন করব-ইহুদী জাতির এই আদর্শ আজ ব্যাপ্ত করেছে খৃষ্টান ইউরোপকে এবং সেই আদর্শ জাহাজে করে’ চালান হয়েছে নিরীহ দুর্ব্বল ভারতবর্ষে । আমাদের দেশে বল নেই, আছে আস্ফালন, পৌরুষ নেই, আছে আক্রোশ, হনন করার শক্তি নেই, আছে জিঘাংসা । রাজনৈতিকদের নির্দেশ এল, শাসকপ্রবর্তিত দ্বৈত শাসন প্রতিরোধ করতে হবে, সেই জন্য হুলস্থল সোরগোল বাধিয়ে দিতে হবে । হুলস্থল করবে কারা ?—সমস্ত কলেজের ছাত্রেরা । ফতোয়া জারী হ’ল কলেজে কেউ যাবে না এবং কাউকে যেতে দেওয়া হবে না । কলকাতার কলেজে কলেজে ছাত্রমহলে উঠল উত্তাল ঢেউ । নিরীহভাবে যেখানে চলছিল পঠনপাঠন সেখানে সমূহভাবে উঠুল বিক্ষোভ । কোনও একটা ইংরেজ অধ্যক্ষ পরিচালিত কলেজে এই