পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 8 অধ্যাপক বন্দুক, কিন্তু আপনি যদি ভাবেন যে বন্দুকের গুলি বাঘের মাথা যে বিদ্ধ করতে পারবে তার প্রমাণ কি—বন্দুকের গুলি লাগৃলে তার যদি কিছু না হয়—তবে কোন ভরসায় আপনি স্থির ও দৃঢ় হয়ে বাঘের মাথায় গুলি চালাবেন ? আপনি হয় ত ভাববেন, তার চেয়ে বেশী নিরাপদ পশ্চাদিকে পলায়ন। ফলে আপনার মৃত্যু হবে অনিবার্য্য । যে বল, যে শক্তি, যে অস্ত্র আপনার আছে, শুধু থাকলেই তার কাজ সম্পন্ন হবে না, চাই সেই বলে, সেই অস্ত্রে বিশ্বাস । এ কথা আমি মানি যে আধুনিক উপায়ে সশস্ত্র ইংরেজ কোটি কোটি নিরস্ত্র ভারতবাসীর উপর অনেক অত্যাচার করতে পারে । একটা দুটো দৃষ্টান্ত নিলে মনে হয় চরিত্রবলের দ্বারা এ অত্যাচারকে নিবারণ করা যায় ন। দু'টি সশস্ত্র জাতি যখন পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় তখন যন্ত্রবলের প্রয়োগেও কি সহজে দু’চারটি যুদ্ধে তাদের কোনও একটি জাতি অপরটির উপর প্রভুত্ব স্থাপন করতে পারে ? এই যে বলে বলে যুদ্ধ হয় সেখানেও দেখা যায়, যে পক্ষে চরিত্রবল, দৃঢ়তা, বুদ্ধি এবং সংযম মিলিত হয়েছে সেই পক্ষেরই ঘটে জয় । Xerxesএর প্রকাও বাহিনীকে মুষ্টিমেয় গ্রীকৃ সৈন্য প্রতিহত করেছিল । বিগত যুদ্ধেও দেখা গেছে যে প্রথমে যারা জয়ী হয় তারা যে চিরকালই জয়ী থাকে এমন নয়। এই সংসারের সংগ্রামে ভগবান যাকে যে অস্ত্র দিয়েছেন সেই অস্ত্রের উপরই তাকে বিশ্বাস রেখে লড়তে হবে। যারা দুর্ব্বল, অস্ত্রশস্ত্রবিহীন তাদের পক্ষে চরিত্রের দৃঢ়তাই প্রধান অস্ত্র। দশবার যদি হটে যায় তবুও সেই অস্ত্রেই তারা জয়ী হবে। অন্ততঃ ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষাই দিয়ে থাকে। অধর্ম্মের দ্বারা দু একবার সুবিধা হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরই স্থবিধা হবে যাদের আছে চরিত্রের ধৈর্য্য- শ্বাপদসঙ্কুল পৃথিবীতে