পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ অধ্যাপক কাজে ? দেশে দেশে যখন যুদ্ধ বাধে তখন তরুণেরা আসে ভলান্টিয়ার হয়ে, ঘাড়ে বন্দুক ফেলে যায় যুদ্ধ করতে, প্রাণ দেয় দেশের জন্য । যারা যুদ্ধে যেতে অসমর্থ তারা দেশ ও নগরে অবশ্ব কর্ত্তব্য কাজ করে । সে কাজে ছেলেরা মেয়ের উভয়েই দেয় যোগ । তার একটা অর্থ আছে, কারণ সেখানে তাদের চেষ্টা, তাদের উদ্যম সফল করা যায় দেশের রক্ষাকার্যো, দেশের মঙ্গলকার্য্যে । কিন্তু আপনার ত কোনও কার্য্যে তাদের নিয়োগ করতে পারছেন না । আপনাদের সমস্ত যুক্তিপরামর্শ একটা 'না'তে পরিণত হচ্ছে । কলেজে যে ও না, কলেজে কাউকে যেতে দিও ন।--বেশ ত, তারা না গেল কলেজে, না मिळ কাউকে যেতে । তারা টহল দিল নিশান ঘাড়ে করে’ বাগবাজার থেকে ওয়েলেসলি পর্য্যস্ত, চাই কি, টালিগঞ্জ পর্য্যন্তও যেতে পারে। কিন্তু শুধু এই কলেজ না যাওয়াতে ও রাস্তায় টহল দেওয়াতে দেশের কি মঙ্গল হবে ?” “আহা, আপনি বুঝছেন না কেন ? এ কত বড় একটা demontration !” কানাই বলে—“কার কাছে demonstration ? আপনারা মনে করেন যে ইংরেজ একটা democratic জাতি, প্রজাপ্রীতি এদের অবচেতনার মধ্যে সুপ্ত হয়ে আছে । দেশের লোক ক্ষেপে উঠেছে, এই আতঙ্ক তাদের জন্মাতে পারলে সেই অবচেতনাগত সংস্কারের ফলে তারা একটু নরম হবে । কিন্তু আপনিও যেমন জানেন তারাও তেমন জানে যে এটা একটা ক্ষেপিয়ে তোলা ব্যাপার । আজ আপনার অঙ্গুলি-সঙ্কেত করলে তার কলেজে যাওয়া বন্ধ করবে আবার কাল কলেজে যাওয়া স্বরু করবে স্বৰ্ড স্থড় করে । দীর্ঘকাল পাঠের বিচ্ছেদ ঘটাতে গেলে তারাও আপনাদের মানবে না, তাদের