পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ ૦ অধ্যাপক আপনি যদি চরিত্রের মহত্ত্বে ও ঔদার্য্যে প্রশ্রয়ের সঙ্গে এদের দেখে ভালবাসার সহিত এদের ক্ষমা করেন তা হ’লেই আপনি পারবেন এদের মন জয় করতে ” ইংরেজ মহিল৷ অধ্যক্ষটি বল্লেন—“আপনি যা বলেছেন তা ঠিক, সে কথা যে আমি বুঝি না তা নয়। অন্য দেশে সমাজে ও রাষ্ট্রে কোনও পার্থক্য নেই। সমাজের মঙ্গলের জন্যই গঠিত হয়েছে রাষ্ট্র এবং সমাজের চিত্তভাবের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মনোভাবের হয় পরিবর্তন এবং সেইজন্য বিলাতেব প্রসিদ্ধ বিদ্যাকেন্দ্রে রাষ্ট্রীয় বিষয়ে স্বাধীনভাবে আলোচনা করতে ছেলেদের যথেষ্ট প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে থাকে । কিন্তু আপনাদের দেশ ত তা নয় । রাষ্ট্র ত এখানে সমাজের দেহ থেকে উৎপন্ন হয় নি, বরং রাষ্ট্রই এখানে প্রধান, সমাজই তার দেহে মূলহীন হয়ে উপ-লতারূপে তাকে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের এ বিদ্যালয় রাষ্ট্র দ্বারা স্থাপিত, এর সমস্ত ব্যয়ভার বহন করে রাষ্ট্র, এবং অধ্যক্ষদের একটি প্রধান কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রবিদ্রোহ উৎপন্ন হ'লেই তাকে সমূলে উৎপাটন করা । উত্তরে সুকুমার বল্লে—“রাষ্ট্রের সঙ্গে সমাজের যে যথার্থ সম্বন্ধ সহজভাবে সর্ব্বত্র রয়েছে সেই সম্বন্ধটিই যাতে এ দেশেও বৰ্দ্ধিত হয়ে ওঠে এইটিই ত হওয়া উচিত শিক্ষার উদ্দেশ্য ।” অধ্যক্ষ বল্লেন—“কিন্তু সে সম্বন্ধ ত এখানে নেই। রাষ্ট্র-স্থাপিত বিদ্যালয়ের এটা কর্ত্তব্য নয় যে সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্বন্ধ যথার্থভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠ করতে পারে, উদ্যোগী হয়ে সে বিষয়ে উৎসাহ দেবে । সেটা দেশের জনসাধারণের কাজ । বলের দ্বার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত, রাষ্ট্রের স্বারা যে শিক্ষাপদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত, তার প্রধান উদেশ্ব হবে রাষ্ট্রের সংরক্ষণ ।”