পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাধ্যাপক २¢S র্তার চক্ষুতে গুণটি হত সমুদ্ভাসিত । এই পৃথিবী তার কাছে ছিল মধুময়, বিশ্বাসে তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ, কর্ম্মে তিনি ছিলেন দৃঢ়, তেজস্বী ও নিঃস্বার্থ ছিল তার হৃদয় । অধ্যক্ষের নিকট উপর থেকে হুকুম এল, এই ব্যাপারে যার প্রধান তাদের নাম সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে । অধ্যক্ষ নিজে মেয়েদের চেনেন না, কাজেই তিনি হুকুম জারী করলেন নিস্তারিণী দেবীর উপর । নিস্তারিণী দেবীর কর্তব্য নিৰ্দ্ধারণ করতে বিলম্ব হ’ল না । তিনি দাখিল করলেন পদপরিত্যাগপত্র অধ্যক্ষের নিকট এবং অস্বীকার করলেন এই কার্ষ্যে অধ্যক্ষকে সাহায্য করতে | পদপরিত্যাগ-পত্র প্রেরণ করে’ই তিনি যেন মুক্তিব আনন্দ অনুভব করলেন । প্রধান শিক্ষয়িত্রী হিসাবে তার বেতন বড় কম ছিল না । আয়ের কোন দ্বিতীয় পন্থাও ছিল না, পোযু ও ছিল তার অনেকগুলি । কিন্তু তথাপি কর্তৃব্যের দ্বন্দ্বে এসে পৌছে আপন পথ বেছে নিতে র্তার তিলমাত্র বিলম্ব হ’ল না । বিদ্যালয় পরিত্যাগ করে তিনি সুজাতার কাছে এসে উপস্থিত হ’লেন তাকে সাস্তুনা দিতে । সুজাতা সমস্ত শুনে অস্থির হয়ে উঠল, তার মনে হ’ল, তার এক্ট আকস্মিক কাজটাতে চারিদিকে যে বিভ্রাট ঘটেছে তার আর ইয়ুক্ত নেই। সমস্ত মেয়েগুলি বিপন্ন, নিস্তারিণী দেবী ছাণ্ডলেন চাকরী, কানাই গেল জেলে । আরও কি ঘনিয়ে আসবে ঠিক নেই। সে আপন বুদ্ধিকে বারবার ধিক্কার দিতে লাগৃল । কিন্তু নিস্তারিণী দেবী ধীর স্থিরভাবে বল্লেন—“ভগবান যা করেছেন তা মঙ্গলের জন্যই করেছেন ।" স্বজাত বল্লে—“আপনার ধর্ম্মনিষ্ঠ গভীর, আপনি সব জিনিষেই ভগবানের মঙ্গলময় অনুষ্ঠান দেখতে পান । এর মধ্যে মঙ্গল কোথায় ?” তার জবাবে নিস্তারিণী দেবী বল্পেন—“জগতে অধিকাংশ ঘটনার