পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

θΨιν অধ্যাপক কথার ইঙ্গিতটুকু শুনেছিল, কানাইয়ের কথা শুনে উদ্ভিন্ন-স্বেদ-বিন্দু সুজাতার পাণ্ডুর মুখখানি কেমন কমনীয় হয়ে উঠেছিল, কে জানে তার পিছনে রয়েছে কি রহস্য জড়িত ! আবার ভাবলে, হ’তই যদি কানাই অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তাকে জয় করে সুজাতাকে অর্জন করার অধিকার ত ছিল তারই । কানাই ত গিয়েছিল জেলে, এই সুযোগে সে ত আবার চেষ্টা করতে পারত তার রাজ্য পাততে। না-না, সে কিছুতেই হ’ত না, জেলে গিয়েই ত সে দিয়েছে টেক্কা । তার জন্য জেলে গিয়েছে বলেই ত কানাইয়ের মূর্ত্তি দীপ্ত হয়ে দাড়িয়েছে স্বজাতার হৃদয়ের মধ্যে । এমনি করে স্বকুমার হৃদয়ের মধ্যে যতই এ বিষয়ের আলোচনা করত ততই একটা তীব্র বেদনার ছায়া রেখে দিত তার অভিসম্পাত তার হৃদয়ের মধ্যে । কোনও এক শরতের অপরাহ্নে যখন স্বয্য দিনব্যাপী দুঃসহ ঘর্ম্ম বিতরণের পর ঘনপল্লবপুঞ্জের অন্তরালে আম্ৰবীথিকার যবনিকার পশ্চাতে পশ্চিমের প্রাস্তে দিনান্তে অবতরণ করে যাচ্ছিল তখন প্রভা উপস্থিত হ’ল সুকুমারের বাসায় । পুলিশে ধরে’ নিয়ে যাওয়ার পূর্ব্বে স্বজাত মঞ্জরী ও নিস্তারিণী দেবীর অসাক্ষাতে প্রভাকে একবার বলেছিল, মুকুমারের খোজ নিতে। অনেক দিন সুকুমার আসে নি, সেজন্য স্বজাতার মন কেমন যেন একটা গুপ্ত ব্যথায় টন টন করছিল, অথচ সে একটি কথাও মঞ্জরীকে বলে নি । প্রভার সঙ্গে সুজাতার পূর্ব্বে যে পরিচয় ছিল সেটা মাঝারি রকমের । সে ছিল day scholar, তাই কলেজে মাঝে মাঝে দেখা হ’ত । সেই চায়ের দিনের পর থেকে প্রভা প্রত্যহই প্রায় সুজাতার কাছে আসে। সে যে দুঃসাহসিকভাবে বক্তৃত করেছে এবং মেয়েদের নেতৃত্ব করেছে এতে বন্ধুর গৌরবে প্রভা গর্ব্বিত হয়ে উঠেছে। কেউ নিজে যা না করতে