পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ > と。 অধ্যাপক পড়তে লাগলেন যখন রাশি রাশি দেশীবিদেশী বই, তখন এ-সমস্ত ঝেণক কমবার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না, বরং অনেকদিন পর্য্যস্ত চলল এগুলো বেড়েই । অবিনাশবাবুর কোনও বন্ধু ছিল না, কোনও সহাধ্যায়ীর সঙ্গে আডড দিয়ে, তাস পিটিয়ে বা বৃথাট্যাতে তিনি কখনও সময় কাটাতেন না । এদিকে ছিলেন তিনি ভারী কুণে, কারও বাড়ীতেই তিনি প্রায় যেতেন না । একে ধনী, তায় বিদ্বান, কাজেই তার ব্যবহারকে লোকে অস্বাভাবিক দম্ভ বলেই মনে করত । বিকেলবেলা হয়ত বেরুলেন তিনি একটা ঝুলি কাধে জঙ্গলের দিকে, সেখানে গিয়ে তুলতে লাগলেন নানা রকম গাছের পাতা ফুল । পাহাড়ে যাওয়ার অবসর হ’লে হয় ত কুড়িয়ে আনতেন নানা জাতীয় moss, fern, সংগ্রহ করতেন নানা রকম fungus । সেগুলোকে বাড়ীতে এনে ব্লটিংএর পাতার মধ্যে রেখে করতেন বিশুষ্ক । ছোট একটা microscope ছিল তার, কোনও দিন বা তীক্ষু ছুরি দিয়ে কেটে কেটে Botanyর বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিযে পাতলা ডাল ফুল এই সমস্তের নানা অবয়ব করতেন তিনি বিশ্লেষণ | বাস্তায় যখন চলতেন তার তীক্ষ দৃষ্টি সর্ব্বদা সজাগ থাকত বনস্পতি ও লতাবিতানগুলির উপরে। কোন গাছের কি নাম, কোন সময়ে বা ফুল হয়, ফল হয়, কোথায় কি কাজে লাগে, কোথায় কোথায় পাওয়া যায়, এ সম্বন্ধে ছিল তার আশ্চর্য্য বিচক্ষণতা, অথচ দেখা যায় যে অনেক বয়স পর্য্যস্ত অনেকে অনেক সাধারণ গাছ ও লতার নামটি অবধি জানে না । তেমনি পরিচয় ছিল তার পক্ষীকুলের সঙ্গে । বাড়ীতে অনেকখানি জায়গা জাল দিয়ে ঘিরে অনেক পার্থী তিনি পুষতেন, তাদের অভ্যাস, স্বভাব করতেন তিনি অধ্যয়ন । পক্ষীদের স্বভাব সম্বন্ধে, মৌমাছিদের স্বভাব সম্বন্ধে, পিপীলিকাদের স্বভাব সম্বন্ধে