পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২০ অধ্যাপক , আরও যাচাই করে যখন একেবারে নিঃশঙ্ক এবং নিঃসংশয় হবেন তখনই করবেন তা প্রকাশ । কিন্তু তার রুচি নিবদ্ধ ছিল না বহিলোকের জড়বস্তু সম্বন্ধীয় জ্ঞানে । সব চেয়ে বেশী অনুরাগ ছিল তার মনস্তত্ত্ব অধ্যয়নে আর মনস্তত্ত্ব অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের লীলা তিনি প্রত্যক্ষ করতে চাইতেন কাব্যে, দর্শনে, ইতিহাসে, আখ্যানে, কাহিনীতে, সমাজে, রাষ্ট্রে, অর্থনীতিতে । নানা ভাষায় ছিল তার অধিকার, তাই বিভিন্ন ভাষায় জগতের যে সমস্ত নূতন তথ্য আবিষ্কৃত হত তার দ্বার থাকত না তার কাছে রুদ্ধ । তার অসাধারণ মেধা, প্রখর বুদ্ধি প্রযুক্ত বহু বিষয়ে যদিও তিনি করে তুলেছিলেন তার জ্ঞানকে ব্যাপ্ত, তবু সে জ্ঞান ছিল না তার পল্লবগ্রাহী, কারণ শুধু সংবাদ আহরণের জন্য তিনি তথ্য আহরণ করতেন না । যে কোন শাস্ত্রের তথ্যই আমরা আহরণ করতে যাই না কেন, তার মর্ম্ম পর্য্যস্ত উদঘাটন করতে না পারলে আমরা কিছুতেই সেই শাস্ত্রের জ্ঞানকে অনুভবের মধ্যে সঞ্চারিত করে তা আমাদের মর্ম্মগত করতে পারি না । ভালবাসা ওঠে তার কাষ্ঠায় যখন তা পরিণত হয় শ্রদ্ধাতে, কারণ তখনই ইন্দ্রিয়ের স্বথবোধ, মনের স্থখবোধ পৌছতে পারে আদশের ঘাটিতে, পেতে পারে তার পবিত্রতা । তেমনি জ্ঞান যখন দ্রবীভূত হতে পারে অনুভবের মধ্যে তখনই সেই জ্ঞান হ’তে পারে আমাদের চেতনার জীবনগত ধর্ম্ম । দুধের মধ্যে আমরা যে রস পাই সে স্বাদ থাকে প্রধানত: দুধের creamএর মধ্যে । cream হ’তে হ’লে দুধের অনেকটা অংশ যায় বজ্জিত হয়ে, সে অংশ যে দেহের উপকারক নয় তা নয়, কিন্তু স্বাদ হিসেবে যা হৃদ্য সেটা থাকে creamএর মধ্যে । ভাত খেয়ে আমরা আমাদের দেহ পুষ্ট করে থাকি । সমস্ত জীবজগৎ এই শ্বেতসার