পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ළුෂ්) স্থাপন করলেন সৌহার্দ্য ও কাজ করতে লাগলেন র্তাদের সহযোগিতায় । আট দশ বৎসর এমনি করে” কাটিয়ে তিনি ফিরে এলেন দেশে, নিয়ে এলেন অসীম আশা, অতুলনীয় উৎসাহ এবং কর্ম্মের বিপুল কল্পনা । তার পুরাতন কর্ম্মগৃহ হ’ল এখন তার পক্ষে সম্পূর্ণ অচল । কলকাতার উপকণ্ঠে একটা বিরাট ভূখণ্ড নিয়ে তিনি মুরু করে’ দিলেন তার নবীন কর্ম্মগৃহ নির্ম্মাণ। বিরাট হ’ল তাব পরিধি, বিপুল হ’ল তাব আয়তন। ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে আসতে লাগল নানা প্রকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্র । তার সঞ্চিত অর্থ ক্রমশঃ হ’তে লাগল নিঃশেষ । তার পিতৃবন্ধুর দেখে ভীত হ’লেন । কেউ কেউ এসে তাকে বল্লেন—এ সব তুমি কি করছ? ব্যানাজিবংশের চিরসঞ্চিত ধন তুমি কোন গহ্বরে ঢালছ ? তিনি স্মিতহাস্তে বলতেন— ‘সরস্বতীর গহবরে ৷ লক্ষ্মীর স্বর্ণকমলের একটি একটি পাপড়ি খসিয়ে আমি দিচ্ছি সরস্বতীর শ্রীচরণে, পেতে চাই তার প্রসন্ন আশীর্ব্বাদ ।’ বন্ধুরা বল্পেন—‘অল্পে স্বল্পে কি চলত না ? তিনি তাদের বৃঝিয়ে দিলেন যে আজকালকার বৈজ্ঞানিক জগতে নূতনতম যন্ত্রপাতি না হ’লে কোনও গবেষণা করা যায় না । তারা জিজ্ঞাসা করলেন---এ গবেষণায় তোমার ফল কি ? তিনি বল্লেন—‘ফল ত খুজি নি । এ হবে নিষ্ফল, এ করবে সত্যকে আবিষ্কার । এ হচ্ছে সরস্বতীর নিষ্কারণ উপাসনা। তবু এই আবিষ্কারের ফলকে যারা প্রযোগ করতে পারবে তারা হয় ত করতে পারবে দেশের মহাকল্যাণ । আমার ভাগ্যে তা জুটবে কি না জানি না, কিন্তু এই যন্ত্রগৃহের কার্য যদি আমাকে অতিক্রম করে চলে তবে এর দ্বারা দেশের ও দশের অশেষ কল্যাণ সম্পন্ন হ’তে পারে।’ সকলে হতবুদ্ধি হয়ে এই পণ্ডিতমূর্থের সম্বন্ধে নানা আলোচনা