পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ©8ግ পৃথিবী বর্ত্তমানকালের পৃথিবী হয়ে দাড়িয়েছে। এই কুড়িটিও অনাদিকাল থেকে বহু ক্রিয়া-পরম্পরার মধ্য দিয়ে আপন সত্তাকে কোনও না কোনওভাবে স্বতন্ত্র করে রেখেছে। এই হুড়িটিকে যথার্থ বুঝতে গেলে আমরা দেখতে পাই যে এই প্রাকৃতিক নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তার যে ইতিহাস তাকে মুড়ি করে তৈরী করেছে তা ছিল তারই মধ্যে লুক্কায়িত হয়ে । আবার এইখানেই মুড়ির শেষ নয়, এ চলেছে এর অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের দিকে । এই অতীত অনাগতের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে ছাড়া এই মুডিটিকেও সম্পূর্ণভাবে বোঝবার উপায় নেই। এই নুড়ির মধ্যকার প্রত্যেকটি পরমাণু কিরূপে পরস্পর গ্রথিত হয়ে রয়েছে তার সমস্ত কারণ ও উদেশ্ব বিধৃত হয়ে রয়েছে তার অতীত ইতিহাসে ও তার অনাগত ইতিহাসে । বর্ত্তমান হচ্ছে অতীতের ফল ও অতীত ও বর্ত্তমানের বলোৎপন্ন ভবিষ্যৎ হচ্ছে তার উদ্দেশ্য ।” ডাক্তারবাবু বল্পেন—“তারপর ?” “এমনি করে একদিকে চলেছে প্রত্যেক জড়খণ্ডের সঙ্গে অপর জড়খণ্ডের মিলন, বিচ্ছেদ ও পরিবর্তনের ইতিহাস । আবার এই জড়ের থেকে একটি শাখা প্রাণপ্রবাহ উৎপন্ন করে একটি নূতন ইতিহাসপর্য্যায়ের স্বষ্টি করেছে এবং সেই প্রাণপ্রবাহের মধ্যে একটা নূতন ইতিহাসের বীজ দেখা যায় প্রাণিলোকের instinetএর মধ্যে । সেই ইতিহাসটা একটা নূতন পর্য্যায় পেয়েছে উচ্চশ্রেণীর প্রাণিপর্য্যায়ের মধ্যে ও নরলোকের মধ্যে । এই তিন শ্রেণীর ইতিহাসের মধ্যে পরস্পর ঘাতপ্রতিঘাত, দ্বন্দ্ব ও পরিবর্তনের ফলে প্রত্যেকেরই ইতিহাসের হচ্ছে নূতন নূতন পরিবর্তন।” ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলেন—“মনুষ্যলোকে এই ইতিহাসের ধারা কি রকম ?”