পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৩৬৭ পারে । মনটা তার মাঝে মাঝে কণ্টকিত হয়ে উঠুত সুজাতার সম্বন্ধে কিছু খবর জানবার জন্য, কারণ সেই যে চায়ের টেবিলে দেখা আর তার পলিটিক্যাল আন্দোলনে যোগদান ও মেয়েদের বাহিনী নিয়ে শোভাযাত্রা করা, এর অতিরিক্ত সুজাতা সম্বন্ধে সে কিছুই জানত না । মঞ্জরীর কথাও তার অনেক সময় মনে পড়ত। সে বিস্মিত হয়ে গেল কেন মঞ্জরী তার আর কোন খোজ করলে না । সেদিন ইডেন গার্ডেনে আলাপ আলোচনার পরেই সে বেরিয়ে গিয়েছিল মফঃস্বলে, তার ঠিকানা ছিল অনির্দিষ্ট । তথাপি সে এর মধ্যে দু’একবার কলকাতায় এসেছিল এবং মঞ্জরীর খোজ নিতে চেষ্টা করেছিল । কিন্তু একদিনও সে মঞ্জরীর দেখা পায় নি । চিঠিও দু’একটা লিখেছিল সে মঞ্জরীর ঠিকানায়, কিন্তু কোন উত্তর পায় নি। সে ভাবতে লাগল যে এত বড় একটা ব্যাপার হয়ে গেল আর মঞ্জরী তার কোনই খোজ নিলে না—এটা কি রকম ! এক একবার মনে করতে লাগল যে মঞ্জরী হয় ত তার সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে নি, আর সে যে প্রেসিডেন্সী জেলে আছে তাও বোধ হয় মঞ্জরী জানে না ; মেয়েদের পক্ষে পুলিশের আডডায় গিয়ে খবরাখবর করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার । তার নিজের চরিত্রের যে দিকটা সেদিন হঠাৎ প্রকাশ পেয়েছিল মঞ্জরীর কাছে সে দিকটা তার কাছেও একটা নূতন আবিষ্কার । প্রত্যেক জিনিষেরই একটা ঋতুকাল আছে। এই ঋতুকালে হঠাৎ আবিষ্কৃত হয় কোরক, হয়ে ওঠে তা বিকশিত এবং ফলে পরিণত । এই ঋতুকাল আসবার পূর্ব্বে প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রাণের মধ্যে এই কোরকগুলি । সমস্ত বৎসর ধরে একটি আমগাছকে আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি। তাকে খণ্ড খণ্ড করে বিদীর্ণ করতে পারি, তার পত্ররস বা শাখারস নিয়ে চালাতে পারি রাসায়নিক ক্রিয়া ; কিন্তু