পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮১

9ፃ8 অধ্যাপক কানাই বল্পে—“কোথাও কোনও স্নেহ পাই নি এ কথা বলতে পারি না, তবে তারই ব্যর্থতায় যে এ পথে এসেছি তা নয়, বরং এইটেই জেগে উঠেছে বলে সেইটেতে এনেছে ব্যর্থতা, অগ্নির দাহে যেমন উড়ে যায় স্নেহের প্রলেপ ।” অধ্যাপক আবার বল্পেন—“কিন্তু স্নেহের প্রলেপ ত একদিনের প্রলেপ নয়। তার নিঝর আসে ভিতর থেকে এবং সেই মেহই পারে একদিন জলে উঠতে ।” ५ - কানাই বল্লে—“মানুষের মনকে মানুষ চিরন্তন করে বুঝতে পারে না কারণ সে একান্তভাবে নিশ্চল স্থায়ী পদার্থ নয়। আপনারই কথায় বলতে গেলে বস্ব সে নিরন্তর গড়ে তুলছে তার আপন ইতিহাস । তাই নিশ্চিত করে বলা কঠিন যে এই ব্রতকে আমি সমস্ত জীবন দিয়ে পূর্ণ করে তুলতে পারব কি না । কিন্তু এখন যতটা বুঝছি তাতে আমার মনের মধ্যে দৃঢ়তার অভাব দেখতে পাচ্ছি না।” অধ্যাপক বল্পেন—“এটা যদি নিশ্চিত বুঝে থাক তা হলে আমার কিছু বলবার নেই ; যদি থেকেও থাকে তোমার জীবনে কোনও স্নেহের ইতিহাস তবু সে ইতিহাসও ঢেলে দিতে পারে তার শক্তি যদি এই শিখাটি জলে তোমার হৃদয়ে দীপ্ত হয়ে । যেমন নানাদিকের নানা স্নেহের স্রোত অনেক সময় পূর্ণ করে জালিয়ে দিতে পারে একটি প্রেমের বর্ত্তি, তেমনি একটি প্রেমের শিখাও তার ইতিহাসকে নিমগ্ন করে দিতে পারে আর একটি বৃহৎ শিখাস্তরের মধ্যে, তা সে শিখা বিদ্যারই হোক বা সর্ব্বমানবের প্রতি প্রেমেরই হোক্ । প্রেমের শক্তি ছাড়া বিস্তার শিখা জলে না। প্রেম দেয় হৃদয়ের মধ্যে বেগ। শুষ্ক বিচার জালিয়ে তুলতে পারে না আগুন, তার পিছনে চাই স্নেহপদার্থ। ত হ’লে তুমি লেগে ষাও তোমার কাজে । আর একটা কথা আমি